ETV Bharat / state

Tea Garden Meeting : চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিস্ফলা - Meeting on Minimum wage hike for tea garden workers in Siliguri failed

চা বাগান শ্রমিকদের দাবি (demand of tea garden workers), তাঁদের নূন্যতম মজুরি 650 টাকা করতে হবে ৷ যদিও এই দাবি মানতে নারাজ মালিকপক্ষ ৷

Darjeeling Tea Garden Meeting
চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিস্ফলা
author img

By

Published : Apr 2, 2022, 9:34 PM IST

দার্জিলিং, 2 এপ্রিল : উত্তরবঙ্গে চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নিয়ে ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে গেল শনিবার ৷ এদিন শিলিগুড়ির দাগাপুরের শ্রমিক ভবন এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজ্যের তরফে যোগ দেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না ৷ বৈঠকে (meeting on minimum wages of tea garden workers) চা বাগানগুলির মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন । যদিও এই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি এদিন ৷ শ্রমিকদের দাবি মতো মজুরি দিতে নারাজ মালিকপক্ষ ৷

শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি । আলোচনার একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে । আর আলোচনার মাধ্যমেই সেই পরিবেশ তৈরি হবে । কলকাতায় ফিরে গিয়ে বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব, তারপর আলোচনা করে আবার পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে । আশা করি আগামী দিনে, এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । কেননা এদিনের বৈঠকে সব পক্ষই সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে ।" শ্রমমন্ত্রী একথা বললেও শ্রমিক সংগঠনগুলি কিন্তু মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে অনমনীয় মনোভাবের অভিযোগ তুলেছে । এদিনের বৈঠক নিষ্ফলা হওয়াতে শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ।

শনিবার শিলিগুড়ির দাগাপুরের শ্রমিক ভবন বৈঠক করেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না

আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে ট্যাব কেনা নিয়ে বিতর্কে এবার জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টানলেন মেয়র

শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতা জিয়াউল আলম বলেন,"আমরা বর্তমান বাজার মূল্যর নিরিখে ন্যূনতম মজুরি 650 টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম । কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, মালিকপক্ষ দশ টাকার বেশি মজুরি বাড়াতে রাজি হয়নি । এখন একজন শ্রমিক দিনে 202 টাকা করে পাচ্ছেন । মালিকদের প্রস্তাব মতো যদি 10 টাকা যোগ করা হয় সেক্ষেত্রে 212 টাকা হবে ন্যূনতম মজুরি ৷ এই প্রস্তাব মেনে নিলে তা হলে শ্রমিক ও তাঁর পরিবারকে আধপেটা খেয়ে থাকতে হবে ৷ প্রয়োজনে আমরা ধর্মঘট-সহ সবরকম আন্দোলনে যাব ৷ এখানকার অনেক মালিকদের অন্য রাজ্যেও চা বাগান রয়েছে । সেখানে ন্যূনতম মজুরি অনেক বেশি, তবে এই রাজ্যে হবে না কেন ?" অন্যদিকে, তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মহেন্দ্র বনসল বলেন, "বর্তমানে চা পাতার দাম আমরাও সেভাবে পাচ্ছি না । ফলে আমরা শ্রমিকদের কীভাবে অতো টাকা মজুরি দেব, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি ৷"

দার্জিলিং, 2 এপ্রিল : উত্তরবঙ্গে চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ নিয়ে ডাকা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে গেল শনিবার ৷ এদিন শিলিগুড়ির দাগাপুরের শ্রমিক ভবন এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজ্যের তরফে যোগ দেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না ৷ বৈঠকে (meeting on minimum wages of tea garden workers) চা বাগানগুলির মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন । যদিও এই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি এদিন ৷ শ্রমিকদের দাবি মতো মজুরি দিতে নারাজ মালিকপক্ষ ৷

শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি । আলোচনার একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে । আর আলোচনার মাধ্যমেই সেই পরিবেশ তৈরি হবে । কলকাতায় ফিরে গিয়ে বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব, তারপর আলোচনা করে আবার পরবর্তী বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে । আশা করি আগামী দিনে, এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । কেননা এদিনের বৈঠকে সব পক্ষই সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে ।" শ্রমমন্ত্রী একথা বললেও শ্রমিক সংগঠনগুলি কিন্তু মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে অনমনীয় মনোভাবের অভিযোগ তুলেছে । এদিনের বৈঠক নিষ্ফলা হওয়াতে শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ।

শনিবার শিলিগুড়ির দাগাপুরের শ্রমিক ভবন বৈঠক করেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না

আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে ট্যাব কেনা নিয়ে বিতর্কে এবার জ্যোতি বসুর প্রসঙ্গ টানলেন মেয়র

শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতা জিয়াউল আলম বলেন,"আমরা বর্তমান বাজার মূল্যর নিরিখে ন্যূনতম মজুরি 650 টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম । কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, মালিকপক্ষ দশ টাকার বেশি মজুরি বাড়াতে রাজি হয়নি । এখন একজন শ্রমিক দিনে 202 টাকা করে পাচ্ছেন । মালিকদের প্রস্তাব মতো যদি 10 টাকা যোগ করা হয় সেক্ষেত্রে 212 টাকা হবে ন্যূনতম মজুরি ৷ এই প্রস্তাব মেনে নিলে তা হলে শ্রমিক ও তাঁর পরিবারকে আধপেটা খেয়ে থাকতে হবে ৷ প্রয়োজনে আমরা ধর্মঘট-সহ সবরকম আন্দোলনে যাব ৷ এখানকার অনেক মালিকদের অন্য রাজ্যেও চা বাগান রয়েছে । সেখানে ন্যূনতম মজুরি অনেক বেশি, তবে এই রাজ্যে হবে না কেন ?" অন্যদিকে, তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মহেন্দ্র বনসল বলেন, "বর্তমানে চা পাতার দাম আমরাও সেভাবে পাচ্ছি না । ফলে আমরা শ্রমিকদের কীভাবে অতো টাকা মজুরি দেব, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.