শিলিগুড়ি, 15 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শেষদিনেও ঝড়ল রক্ত, উত্তপ্ত হল এলাকা ৷ অশান্তিতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক ৷ ভাঙড়, ক্যানিং-এর পাশাপাশি এবার মনোনয়ন জমা দেওয়া কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের পরোক্ষ আঁচ গিয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গেও। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া রণক্ষেত্রর রূপ নেয় ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মী ও এক কংগ্রেস কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন ৷ তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে মিছিল করে চোপড়া বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা ৷ অভিযোগ, সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন ৷ জখমদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তবে তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই হামলা পরিকল্পিত বলে দাবি বাম ও কংগ্রেসের ৷
অন্যদিকে, গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গুলিতে মৃত সিপিএম কর্মী মনসুর আলির কাকা নৈমুল হকও গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন ৷ তাঁর হাতে গুলির ক্ষত রয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। হাসপাতালে যাওয়া মাত্রই তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরল রক্ত, চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত বাম ও কংগ্রেস কর্মী
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নৈমুল হক বলেন, "আমার স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। ওর মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় গুলি চলে। আমার ভাইপো মনসুর আলির গুলি লাগে ৷ ও মারা গিয়েছে। সামনে থাকা আরও তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।" ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ওই রোগীর জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, চোপড়া থেকে আরও তিন জন আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে একজনের মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে। তাঁকে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।