ETV Bharat / state

বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা , উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা - life is beautiful

ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে । শুধু আমাদের দেশেই নয়, বহু দেশেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে বাড়ছে এই প্রবণতা । আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ খুঁজলেন চিকিৎসকরা ৷

সুইসাইড
author img

By

Published : Sep 10, 2019, 8:31 PM IST

Updated : Sep 10, 2019, 11:55 PM IST

দার্জিলিং, 10 সেপ্টেম্বর : জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই । সব কিছু শেষ ৷ এই অনুভূতি থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়৷ সমস্যা থেকে সমাধানের সহজ পথ হিসেবে পালিয়ে যেতেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় অনেকে ৷ চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের কথায়, " বিভিন্ন চাপের মুখে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । এ জন্য দায়ী যেমন আমাদের অত্যাধিক প্রত্যাশা, কোথাও আবার দায়ি যৌথ পরিবার থেকে নিউক্লিয়ার পরিবারে চলে যাওয়ার চেষ্টাও । কোথাও কাজের চাপ , ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে গঞ্জনার জন্যও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ৷ এছাড়া পরিবারে দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, চাকরি না পাওয়া এবং ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে আত্মহত্যা করেন ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ । বর্তমানে কোচবিহার হাসপাতালের সুপার তিনি । রাজীব প্রাসাদ বলেন, " শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, বর্তমানে শিশু ও কিশোরদের মধ্যেও এই প্রবণতা বাড়ছে । আমরা খুব ভয়ঙ্কর এক সময়ের দিকে এগোচ্ছি ৷ এখুনি কিছু করা না হলে ভবিষ্যতে এটা ভয়াবহ আকার নেবে ৷ "

চিকিৎসকেদের দাবি আত্মহত্যা আটকাতে প্রয়োজন সম্পর্কের মজবুত বাঁধন । পরিবারের সদস্যদের আরো সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন । ভার্চুয়াল জগত থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে বেশি সময় কাটাতে হবে ৷

এদিকে মনোবিদদেরও দাবি শৈশব থেকে নানা কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন শিশুরা । পড়ার চাপ, অত্যাধিক প্রত্যাশা কারও কাছে বোঝা হয়ে উঠলে সে পালাবার পথ খোঁজে । সেই সময় সঠিক সঙ্গী না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তারা৷ সন্তানদের সঙ্গে বাবা-মায়ের আরও একাত্ম হওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা ৷

দার্জিলিং, 10 সেপ্টেম্বর : জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই । সব কিছু শেষ ৷ এই অনুভূতি থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়৷ সমস্যা থেকে সমাধানের সহজ পথ হিসেবে পালিয়ে যেতেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় অনেকে ৷ চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের কথায়, " বিভিন্ন চাপের মুখে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । এ জন্য দায়ী যেমন আমাদের অত্যাধিক প্রত্যাশা, কোথাও আবার দায়ি যৌথ পরিবার থেকে নিউক্লিয়ার পরিবারে চলে যাওয়ার চেষ্টাও । কোথাও কাজের চাপ , ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে গঞ্জনার জন্যও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ৷ এছাড়া পরিবারে দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, চাকরি না পাওয়া এবং ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে আত্মহত্যা করেন ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ । বর্তমানে কোচবিহার হাসপাতালের সুপার তিনি । রাজীব প্রাসাদ বলেন, " শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, বর্তমানে শিশু ও কিশোরদের মধ্যেও এই প্রবণতা বাড়ছে । আমরা খুব ভয়ঙ্কর এক সময়ের দিকে এগোচ্ছি ৷ এখুনি কিছু করা না হলে ভবিষ্যতে এটা ভয়াবহ আকার নেবে ৷ "

চিকিৎসকেদের দাবি আত্মহত্যা আটকাতে প্রয়োজন সম্পর্কের মজবুত বাঁধন । পরিবারের সদস্যদের আরো সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন । ভার্চুয়াল জগত থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে বেশি সময় কাটাতে হবে ৷

এদিকে মনোবিদদেরও দাবি শৈশব থেকে নানা কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন শিশুরা । পড়ার চাপ, অত্যাধিক প্রত্যাশা কারও কাছে বোঝা হয়ে উঠলে সে পালাবার পথ খোঁজে । সেই সময় সঠিক সঙ্গী না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তারা৷ সন্তানদের সঙ্গে বাবা-মায়ের আরও একাত্ম হওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা ৷

Intro:আসাইনড স্টোরি

আমাদের দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। শুধু আমাদের দেশই নয়, বহু দেশেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে বাড়ছে এই প্রবণতা। আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে খুজলেন চিকিতসকেরা।


Body:জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই। হতাশা গ্রাস করেছে জীবনকে। এই অনুভূতি থেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিততসকেরা।
সমস্যা থেকে সমাধানের সহজ পথ হিসেবে আসলে পালিয়ে যেতে এই পথ বেছে নেওয়া হয়। রায়গঞ্জের চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের কথায়, সামাজিক চাপের মুখে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ এ পথ বেছে নিচ্ছেন। এর জন্য দায়ী যেমন আমাদের অত্যাধিক প্রত্যাশা, কোথাও আবার দায়ী যৌথ পরিবার থেকে নিউক্লিয়ার পরিবারে চলে যাওয়ার চেষ্টাও।
পরিবারে দ্বন্ধ, প্রেমে ব্যর্থ হওয়া, পরীক্ষায় ফেলের জেরে আত্মহত্যা, বেকারত্ব, ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা আমরা প্রায়শই শুনি। তা কাম্য নয়।
দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনাটমি বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ। বর্তমানে কোচবিহার হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রাসাদের কথায় শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, শিশু ও কিশোরদের মধ্যেও এই প্রবণতা বাড়ছে।
চিকিৎসকেদের দাবি আত্মহত্মাকে ঠেকাতে প্রয়োজন সম্পর্কের মজবুত বাঁধন। পরিবারের সদস্যদের আরো সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া, নানা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট মুখ গুজে থাকার বদলে খোলামেলা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ঠেকাতে পারে আত্মহত্যা কে।


Conclusion:মনোবিদদেরও দাবি শৈশব থেকে নানা কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন শিশুরাও। পড়ার চাপ, অত্যাধিক প্রত্যাশা তার কাছে বোঝা হয়ে উঠলে সে পালাবার পথ খোঁজে। সন্তানদের সঙ্গে বাবা মায়ের বন্ধুত্ব দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এটি মনোরোগ মাথায় রেখে রোগীকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে হবে।
Last Updated : Sep 10, 2019, 11:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.