দার্জিলিং, 10 সেপ্টেম্বর : জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই । সব কিছু শেষ ৷ এই অনুভূতি থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়৷ সমস্যা থেকে সমাধানের সহজ পথ হিসেবে পালিয়ে যেতেই আত্মহননের পথ বেছে নেয় অনেকে ৷ চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের কথায়, " বিভিন্ন চাপের মুখে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে । এ জন্য দায়ী যেমন আমাদের অত্যাধিক প্রত্যাশা, কোথাও আবার দায়ি যৌথ পরিবার থেকে নিউক্লিয়ার পরিবারে চলে যাওয়ার চেষ্টাও । কোথাও কাজের চাপ , ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে গঞ্জনার জন্যও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ৷ এছাড়া পরিবারে দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, চাকরি না পাওয়া এবং ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে আত্মহত্যা করেন ৷
দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ । বর্তমানে কোচবিহার হাসপাতালের সুপার তিনি । রাজীব প্রাসাদ বলেন, " শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, বর্তমানে শিশু ও কিশোরদের মধ্যেও এই প্রবণতা বাড়ছে । আমরা খুব ভয়ঙ্কর এক সময়ের দিকে এগোচ্ছি ৷ এখুনি কিছু করা না হলে ভবিষ্যতে এটা ভয়াবহ আকার নেবে ৷ "
চিকিৎসকেদের দাবি আত্মহত্যা আটকাতে প্রয়োজন সম্পর্কের মজবুত বাঁধন । পরিবারের সদস্যদের আরো সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন । ভার্চুয়াল জগত থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে বেশি সময় কাটাতে হবে ৷
এদিকে মনোবিদদেরও দাবি শৈশব থেকে নানা কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন শিশুরা । পড়ার চাপ, অত্যাধিক প্রত্যাশা কারও কাছে বোঝা হয়ে উঠলে সে পালাবার পথ খোঁজে । সেই সময় সঠিক সঙ্গী না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তারা৷ সন্তানদের সঙ্গে বাবা-মায়ের আরও একাত্ম হওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা ৷