কালিম্পং, 3 এপ্রিল : কোরোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে ঘরমুখী করতে বেগ পেতে হচ্ছে জেলা প্রসাশনকে । কোরোনা সন্দেহে বা ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রায় সকলকেই কোয়ারান্টাইনে রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও । এই 14 দিনের কোয়ারান্টাইন শব্দে ভীতি থেকেই এই সমস্যা । কিন্তু ভয়ের কিছু নেই, পাহাড়বাসীর স্বার্থেই তাদের কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা । বললেন GTA চেয়ারম্যান অনিত থাপা ।
কোরোনার থাবায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব । উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের । তার সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাদের প্রত্যেকেই আইসোলেশনে বা কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে । এখনও অনেককে খুঁজে বের করা হচ্ছে । তবে, প্রত্যেকটি জেলার মতোর উত্তরবঙ্গেও এই কাজ করতে গিয়ে বাধা পেতে হচ্ছে প্রসাশনিক আধিকারিকদের । গতকাল কালিম্পঙে একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এবিষয়ে পাহাড়বাসীকে আশ্বস্ত করে অনিত থাপা বলেন, "কোয়ারান্টাইন সেন্টার বানাতে দিন । এটা নিয়ে দয়া করে বিক্ষোভ বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না । যা হচ্ছে তা আপনাদের ভালোর জন্যই করা হচ্ছে । কোয়ারান্টাইনে থাকা মানেই কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন ভাবা ঠিক নয় । কেউ অসুস্থ হলে বা কোরোনা আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে । এক্ষেত্রে যে এলাকার রোগী সেখানকার আশপাশের কোনও হাসপাতাল বা অনেক ক্ষেত্রে বাড়িতেই রাখা হতে পারে । অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । আর কারও শরীরে কোরোনা পজ়িটিভ মিললে তাঁকে শিলিগুড়ির মাটিগারার চ্যাং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হবে । তাই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই ।"
কালিম্পং জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে 40 টি বেডের কোয়ারান্টাইন সেন্টার । গতকাল সেই কাজ পরিদর্শনে আসেন GTA চেয়ারম্যান । GTA-র তরফে হাসপাতালের জন্য দেওয়া প্রয়োজনীয় মালপত্র । কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসক আর বিমলা, কালিম্পং পৌরসভার চেয়ারম্যান রবি প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি । সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও ।
বৈঠক শেষে তিনি জানান, কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কালিম্পঙে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে । এর ফলে আতঙ্ক বেড়েছে এই শহরে । কিন্তু আতঙ্কিত না হয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে । সেজন্য আপাতত আমি কালিম্পঙেই থাকছি ।