শিলিগুড়ি, 5 জানুয়ারি: পরকীয়া সন্দেহের জেরে স্ত্রী'র ধড় থেকে মাথা আলাদা করে খালের জলে ভাসিয়ে দিল স্বামী (Husband cuts his wife body into pieces due to extramarital affair) শিলিগুড়িতে হাড়হিম করা এই ঘটনায় অনেকে আবার শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়াও দেখছেন। পুলিশি জেরায় স্ত্রী'কে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী (Husband accused in murder of his wife in Siliguri) ৷ এরপরই তড়িঘড়ি খালে শুরু হয় দেহ খোঁজার কাজ। দেহের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি ৷ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক পুলিশ থেকে শহরবাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রেণুকা খাতুন (29)। রেণুকার স্বামী মহম্মদ আনসারুলের পেশায় একজন রঙের মিস্ত্রী। অন্যদিকে রেণুকা বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ মৃতা রেণুকার বাড়ি শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 42 নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশ নগরে। বছর ছ'য়েক আগে 43 নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর ৷ তাদের এক সন্তানও রয়েছে। মাসখানেক আগে রেণুকা শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই স্বামীর মনে পরকীয়ার সন্দেহ শুরু হয়। গত 24 ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় রেণুকা ৷
আরও পড়ুন: অঞ্জলির মৃত্যুর দিনই একইভাবে দুর্ঘটনার বলি যুবক, দিশেহারা পুলিশ
স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় 25 ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় শ্বশুরের সঙ্গে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে আনসারুল। এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে আনসারুলের উপরই সন্দেহ হয় পুলিশের ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে তাকে আটক করে জেরা শুরু করে ৷ শেষমেশ পুলিশি জেরায় মুখে ভেঙে পড়ে আনসারুল। জেরায় আনসারুল জানায়, 24 ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী'কে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় সে ৷ এরপর রেণুকাকে খুন করে সে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেয় ৷ এরপর দু'টি আলাদা বস্তায় ঢুকিয়ে তা খালে ভাসিয়ে দেয় সে।
মৃতার প্রতিবেশী মহম্মদ সুলেমান বলেন, "ওর স্বামীই খুন করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। 24 ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। দেহ এখনও মেলেনি। ক্যানেলে খোঁজ চলছে।"