শিলিগুড়ি, 20 ডিসেম্বর: শিলিগুড়ির হোমে অস্বাভাবিক মৃত্যু যৌন নির্যাতনের শিকার এক নাবালিকার ৷ হোমের শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বুধবার সকালে ৷ হোমেরই অন্যান্য আবাসিকদের নজরে আসে ঝুলন্ত দেহটি ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ৷ যেহেতু মৃত নাবালিকা যৌন নির্যাতনের শিকার, তাই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ দেহের ‘সুরতহাল’ নথিভুক্ত করে ৷ দেহ আপাতত শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ পরে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখতে পান আবাসিকরা ৷ তাঁরা হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় ৷ এরপর হোম থেকেই পুলিশ এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছায় ৷ এই ঘটনায় হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবাসিকদের উপর নজরদারি এবং সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ যেহেতু নাবালিকা যৌন নির্যাতনের শিকার, তাই তাঁর দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে বিশেষ আইনি প্রক্রিয়া পালন করা হয় ৷ ম্যাজিস্ট্রেটেরে উপস্থিতিতে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা নকশালবাড়ির বাসিন্দা ৷ করোনায় তার বাবা-মা দু’জনেই মারা গিয়েছেন ৷ তখন থেকে পালা করে দিদা ও পিসির বাড়িতে থাকছিল সে ৷ গত অগস্ট মাসে দিদার বাড়িতে ওই নাবালিকা একাই ছিল ৷ অভিযোগ বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগে প্রতিবেশী এক যুবক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে জেলে বন্দি রয়েছে ৷ যেহেতু, নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মা মৃত, তাই আদালত তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ৷
এই ঘটনায় রাজ্য শিশু অধিকার ও সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "হোমে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ৷ নিয়মঅনুযায়ী এখন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তদন্ত হবে ৷ বিষয়টি জেলাশাসক ও শিশু সুরক্ষা কমিশনকেও জানানো হয়েছে ৷ একটি রিপোর্ট যত দ্রুত সম্ভব পাঠানো হচ্ছে ৷" এই ঘটনায় শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, "ঘটনাটি আমার ওয়ার্ডে হলেও, আমাকে প্রথমে বিষয়টি জানানো হয়নি ৷ পরে আমি খবর শুনে, হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ পুলিশ সব খতিয়ে দেখছে ৷"
আরও পড়ুন: