দার্জিলিং, 29 মার্চ: দার্জিলিঙের প্রতি বাঙালির বাড়তি আবেগ সর্বজনবিদিত ৷ তবে কেবল বাঙালিতেই আটকে নেই শৈলরানির পর্যটন ৷ অতিমারির পর আবার ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে সেখানকার পর্যটন ব্যবসা ৷ পর্যটকদের সুবিধার্থে হোটেলের তুলনায় হোম স্টে'র সংখ্যা গত কয়েকবছরে বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধমূলক নানা ঘটনাও। তাই পাহাড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন ও জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল এডমিনিস্ট্রেশন)। নিরাপত্তার কারণে পাহাড়ে নতুন করে 250টি সিসি ক্যামেরায় বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে জিটিএ প্রশাসন (GTA Took initiative to ensure tourists Safety)। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিকে এই কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে 6 কোটি টাকা ।
দার্জিলিংয়ের ম্যাল, ঘুম, টাইগার হিল, কার্শিয়াং, মিরিকে প্রথম ধাপে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা । ইতিমধ্যে কার্শিয়াঙে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন । কার্শিয়াং শহর ও শহরতলি এলাকায় 55টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি দার্জিলিঙে 100টি ও মিরিকে 50টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে ৷ পরবর্তীতে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন জিটিএ আধিকারিকরা।
জিটিএ সভাসদ প্রণম রসেইলি বলেন, "পাহাড়ে দিন-দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে । যে কারণেই বহু আগে থেকেই নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অনিত থাপা ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নজরদারি বাড়াতে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেন । তাঁর কাছে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করেছিল স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। সেজন্য গোটা পাহাড়ে জিটিএ-র তরফে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে ।" তার কথার রেশ টেনেই কার্শিয়াঙের ট্রাফিক বিভাগের ওসি দর্জি শেরপা বলেন, "এই সিসি ক্যামেরা বসানো হলে নজরদারিতে অনেক সুবিধা হবে। পাশাপাশি পাহাড়ে রাস্তার সংখ্যাও সীমিত। অথচ প্রতিদিনই গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে । ফলে যানজটের সময়ও নজরদারি চালানো যাবে ৷ শহরের কেন্দ্রস্থল তো বটেই, বিভিন্ন বাইপাসেও ওই সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন : হলদিবাড়ি থেকেই চলবে দার্জিলিং মেল, রুট বদলের খবর উড়িয়ে জানাল রেল
স্থানীয় বাসিন্দা ওম পাল জানান, বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ৷ মাঝেমধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা হয়। কী করে দুর্ঘটনা ঘটল তা এবার থেকে ধরা পড়বে। পাশাপাশি অপরাধও অনেকটা কমবে। জিটিএ'র উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তবে শুধু সিসিটিভি বসালেই হবে না, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ৷ তাই বাঁদরের হাত থেকে ক্যামেরা গুলি যাতে রক্ষা পায় তার জন্য় লোহার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে ৷