শিলিগুড়ি, 10 ফেব্রুয়ারি: "যাঁরা গোর্খাল্য়ান্ডের নাম করে মানুষের কাছ থেকে ভোট চেয়েছিলেন, তাঁরাই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন ৷ আমি ওই ইস্যুতে ভোটে লড়িনি ৷ আমার ইস্যু, পাহাড়ের উন্নয়ন ৷ আমি সেই কাজ করছি ৷ আমি রাজ্যের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি ৷ গোর্খাল্য়ান্ড রাজ্যের বিষয় নয়, কেন্দ্রের বিষয় ৷ তাই আমি ওই বিষয় নিয়ে কিছু বলতে পারব না ৷" শুক্রবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে ঠিক এই ভাষাতেই নাম না করে বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডস এবং মন ঘিসিংদের কড়া বার্তা দিলেন জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা (GTA Chief Executive Anit Thapa comments on Gorkhaland) ৷
তিনদিনের সফরে কলকাতা গিয়েছিলেন অনিত ৷ সঙ্গে জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলও ছিল ৷ এই সফরে মূলত পাহাড়ের উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের হস্তান্তর প্রক্রিয়া, কর্মী নিয়োগ, জমির পাট্টা প্রদান-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন অনিত ৷ শুক্রবার সকালে দার্জিলিং মেলে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন পৌঁছন তিনি ৷
আরও পড়ুন: বিনয়-বিমল-অজয়ের বন্ধুত্ব 'লোক দেখানো' ! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তোপ অনিতের
ট্রেন থেকে নামার কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনিত থাপা ৷ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অনিত বলেন, "একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে ৷ আজ থেকেই পাহাড়ের বাসিন্দাদের জন্য পাট্টাবিলি ও জমির অধিকার নিয়ে কাজ শুরু হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরবর্তী সফরে পাহাড়ে এসে নিজে হাতে পাট্টা বিলি করবেন ৷ রাজ্যের অন্য়ান্য জায়গায় যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে, সেই সময় পাহাড়েও পঞ্চায়েত ভোট হবে ৷ জমির অধিকার আদায় আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ৷ আমরা নির্বাচনে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ক্ষমতায় এলে পাহাড়ের মানুষ তাঁদের জমির অধিকার পাবেন, পাট্টা পাবেন ৷ পাহাড়ের 80 শতাংশ মানুষের কাছেই তাঁদের জমির অধিকার নেই ৷ এবার সেই কাজ শুরু হবে ৷"
এরপরই পাহাড়ের 'স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান' ইস্যুতে মুখ খোলেন অনিত থাপা ৷ তিনি বলেন, "আমি কোনও দিনই পৃথক রাজ্যের কথা বলে ভোট চাইনি ৷ আমি পাহাড়ের উন্নয়ন চেয়েছি ৷ রাজ্যের সঙ্গে মিলিতভাবে উন্নয়নের কাজ করছি ৷ এটাই আমার কাছে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ৷ আমি পাহাড়ে শিক্ষার উন্নতি চাই, উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো চাই, ঘরে ঘরে পানীয় জলের সরবরাহ চাই ৷ এগুলোই আমার কাছে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান ৷ গোর্খাল্য়ান্ড নিয়ে তাঁরাই বলতে পারবেন, যাঁরা গোর্খাল্য়ান্ডের নামে ভোট চেয়েছিলেন ৷ তাঁরা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলেই এসব করছেন ৷ গোর্খাল্যান্ড এনে দেওয়া তাঁদের ধর্ম ৷ তাঁরাই না হয় সেটা এনে দিন ৷"