শিলিগুড়ি, 8 অগস্ট: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চারটি আতশবাজির কারখানা স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার । আতশবাজি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ওই কারখানাগুলি স্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে । ওই কারখানাগুলি স্থাপিত হলে সবমিলিয়ে অন্তত এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে ।
কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক হয় দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমের । সেখানে শিলিগুড়িতে বাজি বাজার বা আতশবাজির হাব ও মহকুমায় আইন মেনে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয় । শিলিগুড়িতে প্রতি বছর বাজি বাজার বসে । তবে এ বার শহরের বাইরে স্থায়ী একটি বাজি বাজারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । পাশাপাশি কারখানা স্থাপনের জন্য জমি ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর দাবিও তাঁরা তুলে ধরেছেন ।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, "ফাঁসিদেওয়ায় একটি বাজি কারখানা চলছে । সে রকমভাবেই যদি আরও কেউ করতে চায়, তার জন্য আমরা প্রস্তুত । জমি চিহ্নিত করা হবে । একটা বাজারের দাবি করা হয়েছে । সেটা হলে শহরে বিক্ষিপ্তভাবে আর কোথাও বাজি বিক্রি করা হবে না । সবটাই হবে আইন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে ।"
আরও পড়ুন: সবুজ বাজি তৈরিতে আগ্রহী সরকার, শুরু 5 দিনের কর্মশালা
সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বাবলা রায় বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিলাম । তিনি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কারখানাগুলি তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন । সেইমতো জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে জমির জন্য জানালাম । তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত বিষয়টি দেখবেন । পাশাপাশি বাজি বাজার হলে অবৈধ বাজি বিক্রিও বন্ধ হবে । সঙ্গে কারখানা স্থাপন হলে কর্মসংস্থানও হবে ।"
জানা গিয়েছে, একটি বাজি কারখানা গড়তে অন্তত ছয় একর করে জমির প্রয়োজন হবে । কারখানা গড়লে একটি কারখানায় অন্তত 200 থেকে 250 জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে । কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে পরিকাঠামো তৈরি করে দেয় এবং যা ভর্তুকি মেলে তাতে ব্যবসায়ীদের 80 শতাংশ খরচ বেঁচে যায় । রাজ্যে মোট বাজি উৎপাদনের বেশিরভাগটাই দক্ষিণবঙ্গের বাজি কারখানার উপর নির্ভরশীল । দার্জিলিং জেলায় 50টি বৈধ লাইসেন্সড বাজি বিক্রেতা রয়েছেন । তাঁদের এক ছাদের তলায় আনার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ।