ETV Bharat / state

Governor Ananda Bose: হাইকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত, স্বাধীনভাবে কাজ করবেন উপাচার্যরা: রাজ্যপাল

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দেশের সেরা করাই লক্ষ্য ৷ একই সঙ্গে, হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতি মুক্ত করার নির্দেশ রাজ্যপালের ৷

author img

By

Published : Jun 28, 2023, 4:41 PM IST

Etv Bharat
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতি মুক্ত করার নির্দেশ রাজ্যপালের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতি মুক্ত করার নির্দেশ রাজ্যপাল

শিলিগুড়ি, 28 জুন: রাজ্যে 13টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল দ্বারা উপাচার্য নিয়োগকে বৈধ ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আর তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাফ জানিয়ে দিলেন, হাইকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত ৷ একইসঙ্গে, নিয়োজিত উপাচার্যদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলেও বুধবার স্পষ্ট জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷

এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস ৷ আর সেই বৈঠক শেষে কার্যত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলে রাজ্যপাল জানান, তাঁর দ্বারা নিয়োজিত উপাচার্যদের সবরকম স্বাধীনতা রয়েছে ৷ একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যকে এডুকেশনাল হাব করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার পক্ষেও এদিন জোরালো সওয়াল করেন রাজ্যপাল ৷ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিকে দেশের সেরা করা।

রাজ্যপাল নিয়োজিত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবশ্য মেনে নেয়নি শিক্ষা দফতর ৷ এমনকী তাঁদের বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ এই আবহেই রাজ্যপাল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ৷ আর উল্লেখযোগ্যভাবে, সেই বৈঠকের আগেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল কর্তৃক নিয়োজিত উপাচার্যরা বৈধ ৷ এমনকী অবিলম্বে তাঁদের বেতন-সহ অন্যান্য ভাতা চালু করতেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের 13 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই জানান রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, "হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যা করার সেটা করেছে। তাঁদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, তাঁরা সেসব বিষয়ে অবগত, তাঁরা যা যা করণীয় সবটাই নিয়ম মেনে করবেন।"

অন্যদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে যোগ দিতে গেলে ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। তবে সে বিষয়ে একেবারেই বিচলিত নন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের বিক্ষোভকে স্বাগত জানিয়ে আচার্য বলেন, "প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অংশ। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাকে ফেরত যেতে বলেছে, আমি ফেরত চলে যাচ্ছি। আমি তাদের কথামতোই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর চলে যাচ্ছি।" অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের রায়ের পর অনেকটাই স্বস্তিতে উপাচার্যরাও। বৈঠকের বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, "এই বৈঠকের একটাই লক্ষ্য ছিল। রাজ্যের বিশ্ববদ্যালয়গুলি দেশের সেরা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য হবে ছাত্রদের প্রতি নিয়োজিত এবং আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।"

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, জানাল হাইকোর্ট

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজল দে, আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি, নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দন বসু, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতমবুদ্ধ সুরাল, সিধু কানহু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডি রক্ষিত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে, ম্যাকাউট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রনীল মুখার্জি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দে, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমলেন্দু ভুনিয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, "আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। আর আদালতের রায় নিয়ে আমরা আগে থেকেই নিশ্চিন্ত ছিলাম, কারণ আচার্যরই অধিকার এবং ক্ষমতা রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ করা। ফলে বিষয়টা খুব ছেলেখেলা ছিল।"

বিএড কলেজের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। কী করে ছাত্রদের পঠন-পাঠন ও গবেষণায় সমৃদ্ধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।" উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় বলেন, "উপাচার্য অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। সেসব মাথায় রেখেই আমরা কাজ করব। গবেষণার জন্য বিদেশী ফান্ড এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতি মুক্ত করার নির্দেশ রাজ্যপাল

শিলিগুড়ি, 28 জুন: রাজ্যে 13টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল দ্বারা উপাচার্য নিয়োগকে বৈধ ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আর তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাফ জানিয়ে দিলেন, হাইকোর্টের রায়ই চূড়ান্ত ৷ একইসঙ্গে, নিয়োজিত উপাচার্যদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলেও বুধবার স্পষ্ট জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷

এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস ৷ আর সেই বৈঠক শেষে কার্যত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলে রাজ্যপাল জানান, তাঁর দ্বারা নিয়োজিত উপাচার্যদের সবরকম স্বাধীনতা রয়েছে ৷ একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যকে এডুকেশনাল হাব করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার পক্ষেও এদিন জোরালো সওয়াল করেন রাজ্যপাল ৷ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিকে দেশের সেরা করা।

রাজ্যপাল নিয়োজিত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবশ্য মেনে নেয়নি শিক্ষা দফতর ৷ এমনকী তাঁদের বেতন-ভাতাও বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার ৷ এই আবহেই রাজ্যপাল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ৷ আর উল্লেখযোগ্যভাবে, সেই বৈঠকের আগেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল কর্তৃক নিয়োজিত উপাচার্যরা বৈধ ৷ এমনকী অবিলম্বে তাঁদের বেতন-সহ অন্যান্য ভাতা চালু করতেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের 13 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই জানান রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, "হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যা করার সেটা করেছে। তাঁদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, তাঁরা সেসব বিষয়ে অবগত, তাঁরা যা যা করণীয় সবটাই নিয়ম মেনে করবেন।"

অন্যদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে যোগ দিতে গেলে ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। তবে সে বিষয়ে একেবারেই বিচলিত নন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের বিক্ষোভকে স্বাগত জানিয়ে আচার্য বলেন, "প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অংশ। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাকে ফেরত যেতে বলেছে, আমি ফেরত চলে যাচ্ছি। আমি তাদের কথামতোই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর চলে যাচ্ছি।" অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের রায়ের পর অনেকটাই স্বস্তিতে উপাচার্যরাও। বৈঠকের বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, "এই বৈঠকের একটাই লক্ষ্য ছিল। রাজ্যের বিশ্ববদ্যালয়গুলি দেশের সেরা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য হবে ছাত্রদের প্রতি নিয়োজিত এবং আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।"

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, জানাল হাইকোর্ট

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজল দে, আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি, নেতাজি সুভাষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চন্দন বসু, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতমবুদ্ধ সুরাল, সিধু কানহু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডি রক্ষিত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে, ম্যাকাউট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রনীল মুখার্জি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দে, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমলেন্দু ভুনিয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, "আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। আর আদালতের রায় নিয়ে আমরা আগে থেকেই নিশ্চিন্ত ছিলাম, কারণ আচার্যরই অধিকার এবং ক্ষমতা রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ করা। ফলে বিষয়টা খুব ছেলেখেলা ছিল।"

বিএড কলেজের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। কী করে ছাত্রদের পঠন-পাঠন ও গবেষণায় সমৃদ্ধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।" উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় বলেন, "উপাচার্য অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। সেসব মাথায় রেখেই আমরা কাজ করব। গবেষণার জন্য বিদেশী ফান্ড এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.