শিলিগুড়ি, 16 ফেব্রুয়ারি: পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে উত্তরের পর্যটনের কেন্দ্রমনি 'ভোরের আলো' (Gajaldoba Bhorer Alo)। এবার রাজ্য সরকারের তরফে এক ডজন প্রকল্পের জন্য প্রায় ছয় কোটি টাকা দিয়ে সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে। তৃতীয় দফার ওই প্রকল্পের কাজ আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । 21 ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সফর। তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গজলডোবার 'ভোরের আলো' পর্যটন কেন্দ্রকে আরও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার ।
ইতিমধ্যে গজলডোবার গলফ কার্ট, বার্ড ওয়াচিং, বোটিং ও নৌকাবিহারের মতো মনকাড়া সেগমেন্টের জন্যে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ভোরের আলোয় ৷ গঠন করা হয়েছে গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (Gajaldoba Development Authority)। আর সেই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টানা উন্নয়ন হচ্ছে ভোরের আলোয়। ভোরের আলো প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত 295 কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক তথা গজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, "ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে টানা উন্নয়নের কাজ চলছে। গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সহ গ্রামোন্নয়ন, বন ও যুবকল্যাণ দফতর কাজ করছে । বেশ কিছু জমি ও কাজ করার অনুমোদন দিয়েছে গ্রামোন্নয়ন দফতর ।"
জেলা প্রশাসন ও গজলডোবা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ওয়াচ টাওয়ারের জন্য 54 লক্ষ 20 হাজার, বিশ্ব বাংলা গ্লোব ও তিস্তা নদীবক্ষ সৌন্দর্যায়নের জন্য 95 লক্ষ 44 হাজার, শিলিগুড়ি ও ক্রান্তির দু'টি গেট নির্মাণের জন্য 46 লক্ষ, ভোরের আলোতে নদীবক্ষ সৌন্দর্যায়নের জন্য 38 লক্ষ 15 হাজার, জেটি ঘাটের উন্নয়নের জন্য 88 লক্ষ 72 হাজার ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর স্বাগত সেন্টার নির্মাণের জন্য 11 লক্ষ 74 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । পাশাপাশি, পর্যটন কেন্দ্র ও কেন্দ্র সংলগ্ন চারটি রাস্তা নির্মাণের জন্য দেড় কোটি ও কমিউনিটি টয়লেট ব্লক নির্মাণের জন্য 25 লক্ষ 58 হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার ।
আরও পড়ুন : গাজলডোবার মৎস্যজীবীদের রুটি-রুজি বদলে দিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা