শিলিগুড়ি, 12 অগস্ট: ট্রেনের ধাক্কায় গর্ভবতী হাতি মৃত্যুর ঘটনায় টেকনিক্যাল তদন্ত কমিটি গঠন করল বন দফতর। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপালকে ওই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে বিন বিভাগ। রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রককেও চিঠি দিয়েছে রাজ্য বন দফতর ৷
সম্প্রতি, চাপরামারিতে একটি মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই গর্ভবতী হাতির। এই প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের ভূমিকা। গর্ভে সন্তান থাকায় আসতে যাচ্ছিল হাতিটি। আর তাই দ্রুতগতিতে থাকা মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ওই অন্তঃসত্ত্বা হাতির। রেল দুর্ঘটনার জেরে গর্ভস্থ সন্তান ছিন্নভিন্ন হয়ে হাতিটির পেট থেকে ৷ পাশপাশি হাতিটির আটটি হাড় ভেঙে যায় ৷ যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ রাজ্যের বন আধিকারিকরা। যদিও ট্রেনের গতি যে 30 কিলোমিটারের বেশি ছিল না তা মানতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই পুরো ঘটনার তদন্ত ও আগামীতে সেই সমস্যার সমাধানে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে বন দফতর।
এই বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায়কে মাথায় করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেবে। পাশাপাশি ওই সমস্যার কীভাবে সমাধান করা যাবে সেই বিষয়টিও তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।" জানা গিয়েছে, ওয়েবেল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ও বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার সংস্থার সদস্যদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যরা চলতি সপ্তাহেই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি রেল ও বন দফতরের যৌথ কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে। রেল সহযোগিতা না-করায় এবার রেলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রককেও চিঠি দিচ্ছে রাজ্য বন দফতর।
আরও পড়ুন: ট্রেনের বলি বহু, বিশ্ব হাতি দিবসে গজরাজের অস্তিত্ব কি সংকটে ; উঠছে প্রশ্ন