শিলিগুড়ি, 17 ফেব্রুয়ারি: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হোটেলেই পুড়ে মৃত্যু ব্যক্তির ৷ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শিলিগুড়ির সেবক মোড়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর (Fire Broke Out in Siliguri Hotel) ৷ ঘটনাস্থলে দমকলের 4টি ইঞ্জিন গিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ জানা গিয়েছে, মৃত পরিমল দাস (45) রাস্তার ধারে ওই খাবারের হোটেলের ভিতরেই ঘুমাচ্ছিলেন ৷ তিনি কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা ৷ ঘটনায় শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির সেবক মোড়ের হিলকার্ট রোডের পাশে থাকা একটি খাবার হোটেলে আগুন লাগে ৷ ঘটনায় ওই খাবারের হোটেলের সমস্ত সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে ৷ আশেপাশের আরও চারটে দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেগুলিও পুরোপুরি জ্বলে গিয়েছে ৷ দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ ও দমকলের অনুমান খাবারের হোটেলে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে ৷
দমকলের তরফে জাননো হয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুন ছড়ায় ৷ কিন্তু, আগুনের উৎস শর্ট সার্কিট ৷ অন্যদিকে, দোকানের ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত হোটেলের কর্মী পরিমল দাসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ খবর পেয়ে এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ৷
আরও পড়ুন: জোরহাটের চকবাজারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই পাঁচশোরও বেশি দোকান
তিনি জানান, মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফে মৃতের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র ৷ হোটেলের মালিক বিজয় ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, "রাতে আমার কাছে খবর যায় হোটেলে আগুন লেগেছে ৷ এসে দেখি দাউদাউ করে সব জ্বলছে ৷ কিছুই বাঁচেনি ৷" উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে একইভাবে শিলিগুড়ির সেবক রোডে একটি হোটেলে আগুন লেগে নাবালকের মৃত্যু হয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার রাতেও সেই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ৷