শিলিগুড়ি, ২৮ মে: সিবিআই আধিকারিক সেজে কলকাতার ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের ঘটনায় একটি জাতীয়স্তরের বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক সহ দু'জনকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হল । ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংবাদ জগতের পাশাপাশি গোটা রাজ্যে ।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন দাগাপুরের একটি রিসোর্ট থেকে ওই দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । কসবা থানা, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের চারজনের বিশেষ দল শিলিগুড়ি পৌঁছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং প্রধাননগর থানার পুলিশের যৌথ সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্ত এবং তাঁর সহকারী স্বরূপ রায়কে গ্রেফতার করে । তারা ভুয়ো আরেকটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল । এরপর শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির বিশেষ মহকুমা আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায় । ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে । শিলিগুড়িতেও ওই সংবাদকর্মীর কোন চক্র রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম, জোন ২) কুনওয়ার ভূষণ সিং বলেন, "অভিষেক সেনগুপ্ত ও স্বরূপ রায় একটি রিসোর্টে গা ঢাকা দিয়েছিল । সেইমতো গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। "জানা গিয়েছে, কলকাতার অজিত রায় নামে ব্যবসায়ীর কাছে নিজেদের সিবিআই আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তোলা আদায়ের চেষ্টা করে ওই সাংবাদিক বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন:রাজনীতি মুক্ত ত্রাণ পরিষেবা কার্যকর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দুয়ারে ত্রাণ' কী মাস্টার স্ট্রোক
এমনকি ব্যবসায়ীকে সিবিআইয়ের প্রশাসনিক ভবন নিজাম প্যালেসেও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছিল । রফার জন্য এক কোটি চাইলেও শেষে দরাদরি করে ১৫ লক্ষ টাকায় রফা হয় । এরপরই ওই ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন । খবর পেয়েই শিলিগুড়িতে গা ঢাকা দেয় অভিষেক ও তাঁর সহকারী । এরপরই ওই সংবাদমাধ্যমের কর্তৃপক্ষ ওই সাংবাদিককে বরখাস্ত করে । আরও জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির ওই রিসোর্ট থেকে মোট ছ'জনকে আটক করা হয়েছিল । আটকের পর ছ'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । যাদের মধ্যে স্বরূপ রায়ের স্ত্রী, তাঁর গাড়ির চালক এবং রিসোর্টের তিনকর্মী ছিলেন । জিজ্ঞাসাবাদের পর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং অভিষেক সেনগুপ্ত ও স্বরূপ রায়কে গ্রেফতার করা হয় । শেষে কলকাতায় পরবর্তী তদন্তের জন্য নিয়ে আসে পুলিশ ।