ETV Bharat / state

আধপেটা খেয়েই পর্যটকদের পিঠে চাপিয়ে জঙ্গল ঘোরায় লক্ষ্মী-উর্মিলারা

সরকার দিতে পারছে না প্রয়োজনীয় খাবার । তাই আধপেটা খেয়েই বেঙ্গল সাফারিতে থাকে লক্ষ্মী ও উর্মিলা । আজ বিশ্ব হাতি দিবসে এমনই অভিযোগ এনেছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায় । যা কিছুটা হলেও স্বীকার করেছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের নির্দেশক ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 10:26 PM IST

Updated : Aug 11, 2019, 11:00 PM IST

শিলিগুড়ি, 11 অগাস্ট : তারা অর্থের জোগান দিতে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় সাফারির এদিক-সেদিক ৷ তাদের পিঠে চড়ে জঙ্গলের নানাপ্রান্তে ঘুরে বেড়ান পর্যটকরাও ৷ কিন্তু, গজরাজ থুরি রানিদেরই নাকি ঠিকমতো খাবার জোটে না ।

আধপেটা খেয়েই বেঙ্গল সাফারির হয়ে কাজ করতে হয় লক্ষ্মী ও উর্মিলাদের । চার পায়ের এই দাঁতালগুলোর দিকে তেমন নজর নেই প্রশাসনের ৷ এমন অভিযোগ তুলেছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায় । তাঁর অভিযোগ, একটা হাতির খাদ্য চাহিদা মেটাতে যে বিপুল খরচ হয়, তা সামাল দিতে সরকারের সমস্যা হচ্ছে । কথা স্বীকার করেছে বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধরম দেও রাইও । তিনি জানিয়েছেন, পরিমাণ হয়ত কম , তবে প্রোটিনজাতীয় খাবার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যাতে ক্যালরির ঘাটতি মেটানো যায় ।

আগামীকাল বিশ্ব হাতি দিবস ৷ তার আগেই জাঁকজমক করে দিনটি পালিত হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে । এখানকার দুই হাতি লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয় । সঙ্গে যত্ন করে চাল, ডাল ও কলা খাওয়ানো হয় । তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে শিলিগুড়ি কলেজের একদল পড়ুয়াও । তারা লক্ষ্মী, উর্মিলাকে খাওয়ায় ।

কিন্তু একদিনে এত খাবার খেলে হবে কি? বাকি দিনগুলো? প্রশ্ন এখানেই৷ বিতর্ক এখানেই ৷ অন্য দিনগুলোতে তো আধপেটা হয়ে সারা জঙ্গল ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের । জলদাপাড়া থেকে লক্ষ্মী-উর্মিলার দেখভালের দায়িত্ব সামলে আসা রঘুনাথবাবু বিষয়টি সামনে আনার পর এটি উড়িয়ে দিতে পারছেন না সাফারি পার্কের বাকিরাও । পরে রঘুনাথ রায় বলেন, "একটি হাতি সারাদিনে যা খায় তা জোগান দিতে পারে না সরকার । সে ক্ষেত্রে আধপেটা থাকতে হয় এখানকার হাতিদের । দিনে গড়ে ছয় কুইন্ট্যাল করে খাবার দেওয়া হয় । যেখানে পূর্ণবয়স্ক হাতির ক্ষেত্রে দিনে গড়ে 12 কুইন্ট্যাল খাবার প্রয়োজন ।"

এ প্রসঙ্গে ধরম দেও রাইয়ের সাফাই, "একটি হাতি সারাদিনে জঙ্গলে লতা-পাতা, ঘাস, ফল-মূল খায় । সে সব খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে না । সে ক্ষেত্রে চাল, ডাল, গুড় ও লবণ-সহ খাবার দিলে পরিমাণ কম হলেও সমস্যা নেই । কেন না, তাতে প্রোটিনের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি । সে ক্ষেত্রে হাতিগুলি যে অভুক্ত তা বলা যায় না ।"

শিলিগুড়ি, 11 অগাস্ট : তারা অর্থের জোগান দিতে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় সাফারির এদিক-সেদিক ৷ তাদের পিঠে চড়ে জঙ্গলের নানাপ্রান্তে ঘুরে বেড়ান পর্যটকরাও ৷ কিন্তু, গজরাজ থুরি রানিদেরই নাকি ঠিকমতো খাবার জোটে না ।

আধপেটা খেয়েই বেঙ্গল সাফারির হয়ে কাজ করতে হয় লক্ষ্মী ও উর্মিলাদের । চার পায়ের এই দাঁতালগুলোর দিকে তেমন নজর নেই প্রশাসনের ৷ এমন অভিযোগ তুলেছেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায় । তাঁর অভিযোগ, একটা হাতির খাদ্য চাহিদা মেটাতে যে বিপুল খরচ হয়, তা সামাল দিতে সরকারের সমস্যা হচ্ছে । কথা স্বীকার করেছে বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ধরম দেও রাইও । তিনি জানিয়েছেন, পরিমাণ হয়ত কম , তবে প্রোটিনজাতীয় খাবার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যাতে ক্যালরির ঘাটতি মেটানো যায় ।

আগামীকাল বিশ্ব হাতি দিবস ৷ তার আগেই জাঁকজমক করে দিনটি পালিত হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে । এখানকার দুই হাতি লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয় । সঙ্গে যত্ন করে চাল, ডাল ও কলা খাওয়ানো হয় । তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে শিলিগুড়ি কলেজের একদল পড়ুয়াও । তারা লক্ষ্মী, উর্মিলাকে খাওয়ায় ।

কিন্তু একদিনে এত খাবার খেলে হবে কি? বাকি দিনগুলো? প্রশ্ন এখানেই৷ বিতর্ক এখানেই ৷ অন্য দিনগুলোতে তো আধপেটা হয়ে সারা জঙ্গল ঘুরে বেড়াতে হয় তাদের । জলদাপাড়া থেকে লক্ষ্মী-উর্মিলার দেখভালের দায়িত্ব সামলে আসা রঘুনাথবাবু বিষয়টি সামনে আনার পর এটি উড়িয়ে দিতে পারছেন না সাফারি পার্কের বাকিরাও । পরে রঘুনাথ রায় বলেন, "একটি হাতি সারাদিনে যা খায় তা জোগান দিতে পারে না সরকার । সে ক্ষেত্রে আধপেটা থাকতে হয় এখানকার হাতিদের । দিনে গড়ে ছয় কুইন্ট্যাল করে খাবার দেওয়া হয় । যেখানে পূর্ণবয়স্ক হাতির ক্ষেত্রে দিনে গড়ে 12 কুইন্ট্যাল খাবার প্রয়োজন ।"

এ প্রসঙ্গে ধরম দেও রাইয়ের সাফাই, "একটি হাতি সারাদিনে জঙ্গলে লতা-পাতা, ঘাস, ফল-মূল খায় । সে সব খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে না । সে ক্ষেত্রে চাল, ডাল, গুড় ও লবণ-সহ খাবার দিলে পরিমাণ কম হলেও সমস্যা নেই । কেন না, তাতে প্রোটিনের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি । সে ক্ষেত্রে হাতিগুলি যে অভুক্ত তা বলা যায় না ।"

Intro:অর্ধাহারেই দিন কাটে বেঙ্গল সাফারির লক্ষী উর্মিলার, বিশ্ব হাতি দিবসে প্রকাশ্যে অভিযোগ মাহুতের!

শিলিগুড়ি, ১১ আগস্টঃ সরকারের তরফে অর্থ সাহায্য মিললেও শিলিগুড়ির অদূরে বেঙ্গল সাফারি পার্কের দুটি হাতি লক্ষী ও উর্মিলা নিত্য দিনই আধপেটা থাকে। বিশ্ব হাতি দিবসে প্রকাশ্যে এই অভিযোগ তুলে ধরলেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায়৷ তিনি বলেন, একটি হাতি যত পরিমাণ খাবার খায় সরকার সেই খরচ করতে অক্ষম। যদিও বেঙ্গল সাফারি পার্কের নির্দেশক ধরম দেও রাই বলেন, পরিমান হয়ত কম। তবে প্রোটিন জাতীয় খাওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করা হয় ঘাটতি মেটানোর জন্য।

Body:বিশ্ব হাতি দিবস সমারোহে পালিত হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বেঙ্গল সাফারি পার্কের দুই হাতি লক্ষী ও উর্মিলাকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়। এরপর তাদের কলা পাতায় মুড়িয়ে চাল, ডাল খাওয়ানো হয়। শেষ পাতে ছিল পাকা কলাও। এদিন বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষ্যে শিলিগুড়ি কলেজের একদল পড়ুয়া হাতিদের সঙ্গে পরিচিত হতে সেখানে উপস্থিত হয়। তারাও নিজে হাতে হাতিদের কলা খাওয়ায়।

এদিকে বিশ্ব হাতি দিবসে যখন ধূমধাম করে হাতিদের নিয়ে উৎসব পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন বনাঞ্চল ও পার্কে ঠিক তখনই বেঙ্গল সাফারি পার্কের হাতিদের আধপেটা থাকার বিষয় প্রকাশ্যে এল। ঘটনায় বেঙ্গল সাফারি কতৃপক্ষ চাপের মুখে পড়ে। বিষয়ট ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। যদিও সাফারি পার্কের সিংহভাগ কর্তা ব্যক্তিরা অবশ্য প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায়ের মন্তব্য উড়িয়ে দিতে পারছেন না। কারণ, রঘুনাথ রায় দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশী সময় যাবৎ হাতির সংস্পর্শে রয়েছেন। এমনকি জলদাপাড়া থেকেই লক্ষী উর্মিলার দেখভালের দ্বায়িত্ব একা কাঁধে সামলে এসেছেন। সেক্ষেত্রে চুপিসারে অনেকেই প্রধান মাহুতের মন্তব্যে ঘাড় নাড়ছেন। যদিও সকলের মুখেই কুলুপ।

Conclusion:এদিন হাতিদের স্বভাব চরিত্র প্রসঙ্গে সাধরণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করে তুলতে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান মাহুত রঘুনাথ রায়৷ সেসময় তিনি বলেন, একটি হাতি সারাদিনে যা খায় তা দিতে পারে না সরকার। সেক্ষেত্রে আধপেটা থাকতে হয় এখানের হাতিদের। দিনে গড়ে ছয় কুইন্ট্যাল করে খাওয়ার দেওয়া হয়। যদিও পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির ক্ষেত্রে দিনে গড়ে ১২ কুইন্ট্যাল খাওয়ার প্রয়োজন।

মাহুতের বক্তব্য প্রসঙ্গে বেঙ্গল সাফারির নির্দেশক ধরম দেও রাই বলেন, একটি হাতি সারাদিনে জঙ্গলে লতা-পাতা, ঘাস, ফল-মূল খায়। সেসব খাদ্যে সেভাবে পুষ্টি থাকে না। সেক্ষেত্রে চাল, ডাল, গুড় ও লবন সহযোগে খাওয়ার দিলে পরিমান কম হলেও সমস্যা নেই। কেননা, তাতে প্রোটিনের পরিমাণ যথেষ্ট বেশী। সেক্ষেত্রে হাতিরা যে অভুক্ত তা বলা যায় না।




Last Updated : Aug 11, 2019, 11:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.