দার্জিলিং, 24 ডিসেম্বর: বড়দিনের আগেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় উত্তর-পূর্বের সুইজারল্যান্ডে। ভিড়ে ঠাসা শৈলরানি (Darjeeling is Crowded with Tourists) । যার ফলে মিলছে না জায়গা। বাধ্য হয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বুকিং বন্ধ করে দিল হোটেলগুলি। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, 25 ডিসেম্বর থেকে অন্তত 3 বা 4 জানুয়ারি পর্যন্ত পাহাড়ে পর্যটকদের এতটাই ঢল নেমেছে যে হোটেল থেকে হোম স্টে কোথাও রুম পাওয়া যাচ্ছে না।
বড়দিন ও নিউ ইয়ার উপলক্ষে টয়ট্রেনে বাড়তি জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। পাহাড়ে সান্ধ্যকালীন টয়ট্রেন (Toy Train) ভ্রমণ যে কেউই নিতে চান ৷ তবে বড়দিন ও নিউ ইয়ারের কথা মাথায় রেখেই আরও টয়ট্রেন চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে ৷ একে পাহাড় সঙ্গে টয়ট্রেন পাশপাশি বর্ষশেষ ও অন্য দু'বছরের মতো করোনা নেই ৷ তাই এই উৎসবের মরশুমে পাহাড় একেবারে ভিড়ে ঠাসা (During Christmas Darjeeling is Crowded) ৷ ইতিমধ্যে পাহাড়ে আসার জন্য শুরু হওয়া বুকিং বন্ধও হয়ে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 'জিঙ্গল বেল জিঙ্গল বেল...' বড়দিনের আবহে আলোর মালায় সাজল তিলোত্তমার সাহেব পাড়া
বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছরের ছুটিতে এমনিতেই প্রতি বছর পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে শৈলরানি। করোনার কারণে গত দু'বছর সেভাবে পর্যটকদের ভিড় হয়নি পাহাড়ে। কিন্তু এই বছর আগে থেকেই পাহাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। শুধু ম্যাল নয় ! দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেই একই ছবি ৷ পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় 95 শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে প্রায় দু'হাজারের বেশি হোটেল এবং প্রায় আঠারোশো'র বেশি হোম স্টে রয়েছে। এই অবস্থায় এখন কোনও পর্যটক অগ্রিম বুকিং না-করলে মিলবে না জায়গা।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন, ইস্টার্ন হিমালয়ের ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, "ইতিমধ্যে দার্জিলিংয়ের হোটেলগুলিতে কোনও রুম নেই। তাই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের কোনও বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।" হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কয়ের সম্পাদক সম্রাট সান্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "করোনার দু'বছর পর এবার পাহাড়ে অস্বাভাবিক পর্যটকের ঢল নেমেছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে একই পরিস্থিতি। তবে ডুয়ার্সে কিছু জায়গা রয়েছে।"
আরও পড়ুন: বড়দিনে হতে পারে 10 লক্ষ মানুষের জমায়েত, বাড়তি সতর্কতা পার্ক স্ট্রিটে