শিলিগুড়ি, 7 নভেম্বর : শিলিগুড়িতে ক্রমশ বাড়ছে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা । গতকালই কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব । এই পরিস্থিতিতে সামনেই কালীপুজাে, ছটপুজাে । এই দুই উৎসবকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের চিকিৎসকরা । একই সঙ্গে ধনতেরাসে কেনাকাটার জন্য শিলিগুড়িতে যে ভিড় লক্ষ্য করা যায় তা নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
শারদ উৎসবে পুজোমণ্ডপগুলিতে বেলাগাম ভিড় এবং সচেতনতার অভাবে মাস্ক ছাড়াই মণ্ডপে মণ্ডপে প্যান্ডেল হপিংয়ের মাশুল দিচ্ছে শিলিগুড়ি । পুজাে মিটতেই শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী । গত কয়েকদিনে প্রতিদিনই জেলায় গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা 100 ছাড়িয়েছে । এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের আরও একবার সচেতন করতে প্রচারে নেমেছে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক । সদস্য চিকিৎসক কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, "বারবার প্রচার করা সত্ত্বেও পুজাের সময় বাসিন্দাদের একটা অংশ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে । পুজাে মণ্ডপ, রেস্তোরাঁয় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে । অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেননি । যার জেরে শিলিগুড়ি সহ গোটা জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । তাই ফের আমরা প্রচারে নেমেছি ।"
শিলিগুড়িতে কালীপুজাে এবং ছটপুজাে উপলক্ষে অসংখ্য মানুষের ভিড় হয় । এছাড়াও ধনতেরাসের কেনাকাটার জন্য গয়নাগাঁটি, বাসনপত্রের দােকানে ভিড় উপচে পড়ে । চিকিৎসক কল্যাণ খাঁ সতর্ক করে বলেছেন, "এবার এটা আমাদের রুখতে হবে । বাসিন্দাদের কাছে আগাম সতর্কবার্তা দিতে চাই এভাবে দোকানগুলোতে ভিড় করে কেনাকাটা কোরোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে । ফলে বাড়তে পারে সংক্রমণ ।" পাশাপাশি তাঁর অনুরোধ, "রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে । কিন্তু সে নির্দেশিকা আসার আগেই শহরে বাজি চলে এসেছে । তাই বাসিন্দাদের কাছে আমরা আবেদন করছি বাজি ফাটাবেন না । বাজি ফাটানোর ফলে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকে । সেই লেয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয় অসংখ্য ধূলিকণা । যাকে অবলম্বন করে বহুদূর পর্যন্ত এগোতে পারে কোরোনা ভাইরাস ।"
সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, "এখন পাড়ায় পাড়ায় হাসপাতাল । কারণ হাসপাতাল ছাড়াও বহু বাড়িতে হোম আইসোলেশন রয়েছেন অসংখ্য রোগী । ফলে প্রত্যেকটি পাড়াই কার্যত এক একটি হাসপাতাল । আমরা জানি, হাসপাতালের আশপাশে শব্দ দূষণ করা যায় না । তাই প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আমরা আবেদন রাখছি, আসন্ন দীপাবলিতে বাজি ফাটিয়ে দূষণ সৃষ্টি করবেন না । এতে রোগ সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে । এর পাশাপাশি যাঁরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতাল এবং বাড়িতে রয়েছেন তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে ।"