দার্জিলিং, 6 জানুয়ারি: গর্বের 30 বছর! তিন দশক ধরে সফলতার সঙ্গে স্নো-লেপার্ড সংরক্ষণ ও প্রজননে নজির তৈরি করেছে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুয়োলজিক্যাল পার্ক। বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি স্নো-লেপার্ড রয়েছে দার্জিলিংয়ের এই চিড়িয়াখানায়। আর দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই কৃত্বিতে শুভেচ্ছা জানাল "ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জু'স অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়াম।" পাশাপাশি দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত বন দফতর ৷
স্নো-লেপার্ড বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকার শীর্ষে রয়েছে। অর্থাৎ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে অন্যতম এই স্নো-লেপার্ড। বর্তমানে পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র প্রজনন কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, স্নো-লেপার্ডের সংখ্যার দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তো বটেই, গোটা বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "দার্জিলিং চিড়িয়াখানার সাফল্যে আমরা উচ্ছ্বসিত। বিশ্বের মানচিত্রে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা এখন স্নো-লেপার্ডের দিক দিয়ে অন্যতম জায়গা করে রেখেছে। গোটা এশিয়ায় দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় এখন সব থেকে বেশি স্নো-লেপার্ড রয়েছে। আগামীতে এই চিড়িয়াখানা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আমরা আশাবাদী।" দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইয়াচি বলেন, "আমরা গর্বিত এই চিড়িয়াখানার জন্য ৷ একের পর এক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য ৷ আগামীতে আমরা আরও ভালো ফল করব, বলে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি স্নো-লেপার্ড রয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়।"
জু অথরিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, 1983 সাল থেকে গ্লোবাল ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রামের অধীনে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় বিলুপ্ত ও সংবেদনশীল প্রাণীদের সংরক্ষণ ও প্রজনন কর্মসূচি নেওয়া শুরু হয়। 2007 সালে সেন্ট্রাল জু অথোরিটির তরফে দার্জিলিং চিড়িয়াখানাকে কো-অর্ডিনেটিং জু ফর দ্য কনজারভেশন ব্রিডিং অফ স্নো-লেপার্ডের শিরোপা দেওয়া হয়।
- বিশ্বে বর্তমানে সাড়ে 4 হাজার থেকে সাড়ে 7 হাজার স্নো-লেপার্ড রয়েছে। এর মধ্যে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় এখনও পর্যন্ত 77টি স্নো-লেপার্ডের জন্ম হয়েছে। গত বছর জন্ম হয়েছে ছ'টি শাবকের। যা এখন পর্যন্ত সর্বকালের রেকর্ড। বর্তমানে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় 14টি স্নো-লেপার্ড রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি পুরুষ ও সাতটি স্ত্রী।
আরও পড়ুন: