দার্জিলিং, 3 ডিসেম্বর : 22 দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে ফের দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের প্রাণ, টয়ট্রেন, ছুটতে শুরু করল স্টিম ইঞ্জিন নিয়ে ৷ DHR কয়লা শ্রমিকদের কর্মবিরতির জেরে 11 নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয় ট্রেন ৷ তবে তিন সপ্তাহ পর আবার ফুসফুস, তথা স্টিম ইঞ্জিন ফিরে পেল দার্জিলিং পর্যটনের প্রাণ টয় ট্রেন ৷
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ দার্জিলিঙের টয় ট্রেন, 1999 সালের 5 ডিসেম্বর ওয়ার্লড হেরিটেজের মর্যাদা পায় UNESCO-র তরফ থেকে ৷ এই মর্যাদা প্রাপ্তির 20 বছর উৎযাপন উপলক্ষে 6 নভেম্বর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি অবলম্বন করা হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের পক্ষ থেকে ৷ তবে রেলের ঠিকা শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে 11 নভেম্বর থেকে ফুসফুস, স্টিম ইঞ্জিন ছাড়াই ছুটতে হয় হেরিটেজ টয়ট্রেনকে ৷ ফলে এই ভরা পর্যটন মরশুমে দার্জিলিঙে আসা পর্যটকদের দুধের স্বাদ মেটাতে হয় ঘোলে ৷ এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং রেল স্টেশন ম্যনেজার সুমন প্রধান রেলের তরফে পর্যটকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, যে, সমস্যা মিটে গিয়েছে এবং দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত টয়ট্রেনের জয়রাইড পুনরায় শুরু হয় ৷ বাষ্প চালিত ইঞ্জিনের পাশাপাশি জয়রাইড হয় ডিজ়েল ইঞ্জিনে ৷
DHR সুত্রে জানা যায় যে পর্যটন মরসুমে বাষ্প চালিত ইঞ্জিনে জয়রাইডের ট্রিপ হয় ছয়টি । বছরের অন্যান্য সময়ে স্টিম ইঞ্জিন নিয়ে দুটি এবং ডিজ়েল ইঞ্জিন নিয়ে হয় একটি জয়রাইড ট্রিপ । স্টিম ইঞ্জিন চালিত হেরিটেজ টয়ট্রেনের জয়রাইডের আনন্দ নিতে ভাড়া দিতে হয় সাধারণ কোচের জন্য মাথাপিছু 1500 টাকা এবং ভিস্তা ডোমা নামে বিশেষ কোচের জন্য 1600 টাকা ৷ আপাতত, দার্জিলিং থেকে ঘুমের উদ্দেশ্যে সকাল নটা পঁচিশ মিনিটে একটি ও দুপুর দুপুর একটা পঞ্চাশ মিনিটে একটি বাষ্প চালিত ইঞ্জিন নিয়ে ছুটছে দার্জিলিংয়ের হেরিটেজ । এছাড়া ডিজ়েল ইঞ্জিন নিয়ে ছুটছে দুপুর বারোটা নাগাদ । বৃহস্পতিবার, 5 ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে ডিএইচআরের হেরিটেজ তকমার 20 বছর উৎযাপনের মাসভর কর্মসূচি ৷ শেষ দিনে পর্যটকদের জন্য রয়েছে টয়ট্রেনে নাচ-গানের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রান ফর DHR-এর মতন কর্মসূচি ৷ এছাড়াও দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় হতে চলেছে বিশেষ অনুষ্ঠান ও স্থানীয় চিত্র শিল্পীদের ডিএইচআর সম্পর্কিত চিত্রকলার প্রদর্শনী ৷ পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এরকম উদ্যোগ বলে জানানো হয় DHR-এর তরফে ।