শিলিগুড়ি, 30 নভেম্বর: শিলিগুড়িতে দম্পতির রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য (Couple Body Recovered in Siliguri) ৷ শিলিগুড়ি পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এদিন সকালে বেডরুম থেকে উজ্জ্বল কুমার সিনহা (30) এবং তাঁর স্ত্রী দেবলীনা সরকার সিনহার (28) দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ কীভাবে মৃত্যু হল দু’জনের তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল কুমার সিনহা বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন ৷ তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন ৷ তাঁর স্ত্রী আঁকা শেখাতেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে উজ্জ্বল এবং তাঁর স্ত্রী ঘর থেকে না বেরনোয়, দেবলীনার মা শিপ্রা সরকার ঘরের দরজা ধাক্কা দেন ৷ কিন্তু, ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাননি তাঁরা ৷ এর পরেই দেবলীনার দিদি দেবারতিকে খবর দেন শিপ্রা সরকার ৷ তিনি বাড়িতে পৌঁছে ডাকাডাকি করেন ৷ কিন্তু, তখনও ঘরের দরজা না খোলায় খবর দেওয়া হয়, কাঠের মিস্ত্রিকে ৷ এর পর ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দু’জনকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ তাঁদের ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি ৷ জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল সিনহার দেহ বিছানায় পড়েছিল এবং দেবলীনা সরকার সিনহার দেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল ৷
এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় ৷ সেখানে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক ৷ ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ এই ঘটনায় শিপ্রা সরকার বলেন, ‘‘দু’জন 11টা নাগাদ বাড়ি থেকে টিউশন পড়ানোর জন্য বের হয় ৷ কিন্তু, আজ না বেরনোয় সন্দেহ হয় ৷ বড় মেয়েকে খবর দিই ৷ তাঁরা এসে ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি ৷ দরজা খুলতেই দেহ পড়ে দেখি ৷’’
আরও পড়ুন: পরিবারের অত্যাচারে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে আত্মঘাতী যুবক !
মৃত দেবলীনার দিদি দেবারতি সরকার বলেন, ‘‘2013 সালে বিয়ের পর থেকেই মায়ের সঙ্গে থাকত ওরা ৷ রাতে মাকে নিজে হাতে রুটি-মাংস রান্না করে খাইয়েছিল ৷ সকালে মা খবর দেয় ৷ দরজা খুলে দেখি দু’জনেই পড়ে রয়েছে ৷ কোনও পারিবারিক বিবাদ ছিল না ৷’’ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মা বলেন, ‘‘খুবই দুখঃজনক ঘটনা ৷ পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল বলে জানি না ৷ কেন এরকম ঘটনা ঘটল, সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে ৷’’