নিউ জলপাগুড়ি, 7 জুলাই : সকালে শিলিগুড়ি মহকুমাপরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় । তারপরেইবিকেলে নিউ জলপাইগুড়ির তৃণমূলের শ্রমিক নেতা প্রসেনজিত্ রায়ের কোরোনা আক্রান্তেরখবর মেলে । নিজের COVID পজ়িটিভ রিপোর্ট জানতে পেরেই তিনিনিজেই নিউ জলপাইগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে যান । দুদিন আগে তাঁর সোয়াব পরীক্ষাকরিয়েছিলেন । রিপোর্ট পাওয়ার আগেই তিনি স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই প্রকাশ্যে দলেরকর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন ।
আজসকালে নিউ জলপাউগুড়িতে রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল ছিলেন তিনি ।স্থানীয় বিধায়ক ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ছাড়াও ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন জেলাতৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, তৃণমূলনেতা দেবাশিস প্রামাণিক, মদনভট্টাচার্য-সহ জেলার একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব । দুপুরে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেজানান হয় যে, তিনিকোরোনায় আক্রান্ত । এরপর নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাটিগাড়ার এক নার্সিংহোমে যান ।
ইতিমধ্যেজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন কর্মসূচিতে যারা প্রসেনজিতরায়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের অবিলম্বে হোম কোয়ারানটিনে যেতে হবে । ঘটনার কথাপ্রকাশ্যে আসতে প্রশ্ন উঠছে নেতার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে । বিপাকে পড়েছেন দলেরশীর্ষ নেতারাও ।
এপ্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, “আমিওশুনেছি উনি কোরোনায় আক্রান্ত । এটা ঠিক, আমরা সকালে একই মঞ্চে ছিলাম ।প্রত্যেকের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত এটুকু বলতে পারি । আপাতত আমি আলিপুরদুয়ারেএসেছি । দেখছি কী করা যায় ।”
এনিয়েজেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকারকে বারংবার ফোন করা হলেও তিনি অবশ্য ফোন ধরেননি ।তবে দলসূত্রে খবর, এই ঘটনারপর ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত একাধিক তৃণমূল নেতা হোম কোয়ারানটিনে গিয়েছেন ।