দার্জিলিং, 3 নভেম্বর: এবার বিশ্বের অন্যতম উঁচু শৃঙ্গতে শাখা কার্যালয় খোলার উদ্যোগ নিল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন । বিশ্বের অন্যতম পর্বতশৃঙ্গ সান্দাকফুতে এবার জিটিএ (GTA)-র শাখা কার্যালয় খোলার উদ্যোগ নিলেন এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা (Anit Thapa) ।
গত দুদিন ধরে সান্দাকফু পরিদর্শন করেন অনিত থাপা । সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চতায় সান্দাকফু শৃঙ্গটি জিটিএ-র রিম্বিক-লোধামা সমষ্টির অন্তর্গত । শৃঙ্গটির বেশিরভাগ অংশ দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা আর অন্য পারে রয়েছে নেপালের ইলাম জেলা । সান্দাকফু পর্বতশৃঙ্গটি পর্যটনের দিক দিয়ে বিপুল পরিচিত । প্রতি বছর দেশ বিদেশের বহু পর্যটক সান্দাকফু ঘুড়তে এবং ট্রেকিং করতে যান ।
জিটিএ নির্বাচনের আগে অনিত থাপা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে সান্দাকফুর (Sandakphu) পর্যটনের উন্নয়ন এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্বার্থে অবশ্যই পদক্ষেপ করবেন । ক্ষমতায় এসেই এদিন তিনি জিটিএর সচিব, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে সান্দাকফু পরিদর্শনে যান । সেখানে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ।
এরপর একটি হোটেলে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি । বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু সান্দাকফু রিম্বিক-লোধামা সমষ্টির অধীনে, আর তা মূল জিটিএ কার্যালয় থেকে অনেকটা দূরে, সেই জন্য যে কোনও সরকারি কাজ করাতে গেলে সেখানকার বাসিন্দাদের দূরত্বের কারণে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । সেই কারণে এবার থেকে সান্দাকফুতে জিটিএ-র শাখা কার্যালয়, পর্যটকদের জিটিএ সংক্রান্ত ট্যুরিজম হেল্প ডেস্ক ও একটি উন্নতমানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র দ্রুত করা গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
অনিত থাপা বলেন, "নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমরা প্রথমবারের মতো সান্দাকফু এলাকা পরিদর্শন করলাম । আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেছি । আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করলাম । এখানে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই । আমি স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র করব । এখানে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে । সেটারও সমাধানের চেষ্টা করা হবে । আজ পর্যন্ত এখানে বিদ্যুৎ নেই । বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করা হবে ।"
তিনি আরও বলেন, "প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য একটা জিটিএ-র শাখা কার্যালয় করব আমরা । সান্দাকফু পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য । পর্যটনের উন্নয়ন হলে এই জায়গার জন্য খুবই উপকারী হবে । এখানে একটি মন্দিরও রয়েছে । এখানে মাইখোলার উৎপত্তি । ধর্মীয় পর্যটনের দিক থেকেও এই স্থানটিকে গড়ে তোলা যেতে পারে ।”
আরও পড়ুন: জিটিএ বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক হলেন অনিত থাপা