শিলিগুড়ি, 20 জুলাই: রাজ্যজুড়ে একাধিক বনবিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ৷ আর সেই কাজ করার জন্য জাপানের সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে 650 কোটি টাকার অনুমোদন পেল রাজ্য বন দফতর । রাজ্য সরকারের 'ফরেস্ট এন্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ রেসপন্স ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল' যৌথভাবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি সঙ্গে এই প্রকল্পে কাজ করবে ৷ এই প্রকল্পের অধীনে একাধিক কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বন দফতর । রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ বিষয়ে বলেন, "এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বন বিভাগকে ঢেলে সাজানো হবে । জাপানের সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে সেই কাজ করা হবে । তাদের কিছু প্রযুক্তিকেও কাজে লাগানো হবে । মূলত বিশ্ব উষ্ণায়ন, সবুজায়নে জোর দেওয়া হবে । দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।"
সাম্প্রতিককালে বন দফতরের অধীন বিদেশি কোন সংস্থার সঙ্গে এত বড় অংকের প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি । এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য জূড়ে বনাঞ্চল, সবুজায়ন, হাতির করিডোর তৈরি, বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ, বন কর্মীদের জন্য অত্যাধুনিক সামগ্রী কেনা-সহ একাধিক কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে । এই প্রকল্পের টাকায় 2028 পর্যন্ত কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স) সৌমিত্র দাসগুপ্ত বলেন, "এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত বন বিভাগে তিন ধরণের কাজ করা হবে । সবুজায়ন, বন ও বনকর্মী সুরক্ষা এবং কানজারভেশন ও বন্যপ্রাণী-মানুষ সংঘাত রুখতে কাজ করা হবে ।"
আরও পড়ুন: ছেলে হারানোর পর হাতির হানায় নষ্ট ফসল, কাঠগড়ায় বন বিভাগ
বন দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের অধীনে মূলত সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে সবুজায়ন ও বন্যপ্রাণী-মানুষের সংঘাতের উপর । কারণ এই ঘটনায় প্রায়শ্যই অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে ৷ অন্যদিকে সুন্দরবন ও সুন্দরবন সন্নিহিত উপকূলীয় তিনটি জেলায় 20 কোটি ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করা হবে । তার জন্য 18 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক বাদে বাকি বনাঞ্চলে নজরদারিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে । বন কর্মীদের জন্য অত্যাধুনিক ট্রাঙ্কুইলাইজার মেশিন, বন্দুক, ওয়াকিটকি, ফেন্সিং-সহ একাধিক সামগ্রী কেনা হবে বলে খবর ।
আরও পড়ুন: হাতির হানা রুখতে স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করল বন বিভাগ
বনকর্মীদের চলতি বছরেই টহলদারির জন্য দেওয়া হবে এক হাজার বাইক । তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে 21 কোটি টাকা । উত্তরবঙ্গে হাতির 17টি করিডোর ও দক্ষিণবঙ্গে 28টি করিডোর রয়েছে । সেই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই করিডোরগুলিকে চিহ্নিতকরণ ও স্থায়ী করিডোর তৈরি করা হবে । হাতির করিডোর তৈরির জন্য প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করবে বন বিভাগ বলে জানা গিয়েছে । তার জন্যই প্রায় 46 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ।