শিলিগুড়ি, ২৮ অক্টোবর: রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে প্রয়াত রত্না ভট্টাচার্যর শেষযাত্রায় সামিল হলেন বহু শিলিগুড়িবাসী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বুধবার কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র এবং বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মরদেহ ট্রেনে করে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয় ৷ সেখান থেকে মরদেহ পৌঁছয় সুভাষপল্লিতে তাঁর বাসভবনে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেই রত্নাদেবীর শেষযাত্রায় সামিল হন দলীয় কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পাপিয়া ঘোষ, মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব, সদস্য কমল আগরওয়াল, রামভজন মাহাতো, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মালাকার, কংগ্রেস নেত্রী গঙ্গোত্রী দত্ত প্রমুখ ৷ পরে, এদিন সন্ধের সময় অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, "অশোকবাবু যখন রাজ্যের মন্ত্রী তখনও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কোন অহংকার ছিল না। রিক্সা নিয়ে চাকরি করতে যেতেন। মাতৃসুলভ মনোভাব ছিল তাঁর।"
আরও পড়ুন : TMC-Congress: কংগ্রেসের রাজনীতি শুধু টুইটারেই, বিজেপিকে হারানোর গরজ নেই, কটাক্ষ তৃণমূলের
এদিন বাসভবন থেকে রত্নাদেবীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দার্জিলিং জেলা সিপিএমের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনেও। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এরপর কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। স্ত্রী'কে হারিয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "আমার বছরের ৪১ দাম্পত্য জীবনে শূন্যতার সৃষ্টি হল। শুধু জীবন সঙ্গী নয়, একজন ভাল বন্ধু হারালাম।"