শিলিগুড়ি, 10 অগস্ট: জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে একটি মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল বিজেপি। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মী থেকে সমর্থকরা।
দশ বছর পর ডাবগ্রাম 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল বিজেপি। একদিকে, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা গেল বিজেপিদের। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার পরেও উচ্ছ্বাসে মাতলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনায় এলাকায় সাময়িক চাপা উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার ডাবগ্রাম 2 নম্বর অঞ্চলের প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হয়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বোর্ড গঠন করে বিজেপি।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে বিরোধী বাম-কংগ্রেস জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন মিতালি মালাকার। উপপ্রধান হয়েছেন সুপেন রায়। এদিন শপথ গ্রহণের পর উল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। গলায় ফুলের মালা পরিয়ে এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁদেরকে স্বাগত জানান কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি গেরুয়া রংয়ের আবির খেলাতেও মেতে ওঠেন তাঁরা। বের করা হয় বিজয় মিছিল। সকাল থেকেই ডাবগ্রাম 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেন দুই পক্ষেরই (তৃণমূল-বিজেপি) কর্মী-সমর্থকরা।
বিজেপির নবনির্বাচিত প্রধান মিতালি মালাকার বলেন, "প্রথমবার ভোটে দাঁড়াই, আর তাতেই প্রধান হলাম। তবে আমি একা নই, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। আমাদের 19 জনই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে কাজ করা হবে। এলাকার উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।" প্রাক্তন প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা 11 জন সদস্য রয়েছি তৃণমূল কংগ্রেসের। জোর করে বোর্ড দখল করতে চাইনি। প্রথমবার বিজেপি ক্ষমতায় এল। আমরা যা উন্নয়ন করেছি বিজেপি তা করতে পারবে না। এখানকার বিজেপি সাংসদ, বিধায়করাও কোনও কাজ করেনি। পাঁচ বছর চালাক। আমরা লোকসভা ভোটে ভালো ফল করব বলে আশা করি।"
আরও পড়ুন: বহিরাগতদের এনে পঞ্চায়েতে বোর্ড দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে