দার্জিলিং, 21 অক্টোবর: শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়ায় অভিযান চালিয়ে সাপের বিষ পাচার কাণ্ডে রবিবার মহম্মদ সারাফাত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল বন দফতরের (Forest Department) ঘোষপুকুর রেঞ্জ।
তার হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রায় 30 কোটি মূল্যের আড়াই কেজি সাপের বিষ ৷ প্রাথমিক তদন্তে বনকর্মীরা জানতে পেরেছিলেন, ফ্রান্সের একটি সংস্থার তরফে তৈরি করা ওই সাপের বিষ একটি মাল বোঝাই জাহাজ থেকে চুরি হয়েছিল বহু বছর আগে। সেই বিষের একাংশ মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছয় ৷
তারপর বাংলাদেশ থেকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া হয়ে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে এদেশে পৌঁছয় ৷ লক্ষ্য ছিল নেপাল হয়ে চিনে পাচারের। যদিও তার আগেই গ্রেফতার হয় পাচারকারী। তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তে জোর দেয় বন দফতরের ঘোষপুকুর রেঞ্জ ৷ এরপরই উঠে আসে ডাঃ সাজিদ আব্বাসির নাম। জানা গিয়েছে, সাজিদ আব্বাসি বিহারের বাসিন্দা (A Doctor Arrested on Snake Venom Seized Case) । তবে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলায় থাকতেন তিনি ।
আরও পড়ুন: বন দফতরের অভিযানে শিলিগুড়িতে উদ্ধার 30 কোটি মূল্যের সাপের বিষ
সেখানেই একটি ক্লিনিকও রয়েছে তার ৷ তিনি কসমেটিক ও ডেন্টাল সার্জেন্ট (Cosmetic and Dental Surgeon) । সারাফতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চিকিৎসকের নাম মেলে। সারাফতের দেওয়া তথ্য ধরেই অভিযান চালায় বন দফতর। গ্রেফতারের পর মূল অভিযুক্ত সারাফত ওই চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছে। এ বিষয়ে ঘোষপুকুর রেঞ্জের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, "ধৃতকে শুক্রবার আদালতে পেশ করার কথা ৷ পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে ।"