ETV Bharat / state

Barbotey Hanging Bridge: দার্জিলিংয়ে 109 বছরের বারবোটে ঝুলন্ত সেতু পর্যটনের নয়া ঠিকানা

দার্জিলিংয়ের (Darjeeling Tourist Spot) তাকদহের পুমং বারবোটে ঝুলন্ত সেতু (Barbotey Hanging Bridge) আজও বয়ে নিয়ে চলেছে ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস (British Era Bridge)। সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে পর্যটনকেন্দ্র (New Tourist Destination )৷

Barbotey Hanging Bridge ETV Bharat
বারবোটে ঝুলন্ত সেতু
author img

By

Published : Jan 13, 2023, 7:18 PM IST

বারবোটে ঝুলন্ত সেতু পর্যটনের নয়া ঠিকানা

দার্জিলিং, 13 জানুয়ারি: পাহাড় মানেই চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । পাহাড় মানেই অজানার খোঁজে ঘুড়ে বেড়ানো । পাহাড়ে যতই ঘোরা যাক না কেন, প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গার আবিস্কার করায় একটা আলাদা প্রাপ্তি । পাহাড় মানে শুধু দার্জিলিংয়ের (Darjeeling Tourist Spot) ঘুম বা মিরিক নয় । এখন পাহাড়ে শান্তির খোঁজে আনাচে কানাচে পৌঁছে যেতে চাইছেন পর্যটকরা ।

পাহাড়ে জড়িয়ে ইতিহাস

কিন্তু পাহাড়েও ইতিহাস কম নেই । পাহাড় জুড়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের নানা ইতিহাস (British Era Bridge)। যেমন জড়িয়ে রয়েছে গিদ্ধা পাহাড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মংপংয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দার্জিলিংয়ে সিস্টার নিবেদিতার স্মৃতি । এ সবের পাশাপাশি পাহাড়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি নানা নিদর্শন । যাকে ঘিরে এখন পর্যটকদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই । সে রকমই হল দার্জিলিংয়ের পুমং চা বাগান সংলগ্ন ব্রিটিশ আমলের ঝুলন্ত সেতু (Barbotey Hanging Bridge)। যা আজও বয়ে নিয়ে চলছে সেই সময়ের ইতিহাস ।

পর্যটনের নয়া ঠিকানা বারবোটে ঝুলন্ত সেতু

পর্যটনের মরশুমে দার্জিলিং ঘুরতে যান অনেকেই । কিন্তু এমনও একটি জায়গা রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা । পাহাড়ে থাকা ঐতিহাসিক বারবোটে ঝুলন্ত সেতু দার্জিলিংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে (New Tourist Destination)। দার্জিলিংয়ের তাকদহের পুমং চা-বাগান এলাকায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি বারবোটে ঝুলন্ত সেতু । সেই ব্রিজকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা । ব্রিটিশ আমলের এই ঝুলন্ত সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক যেতে শুরু করেছেন । ইতিমধ্যেই ওই সেতুকে কেন্দ্র করে এলাকায় দোকান, হোম স্টে গড়ে উঠেছে । এ ছাড়াও ব্রিজের কারণে স্থানীয় চালকরাও অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেয়েছেন ।

Barbotey Hanging Bridge ETV Bharat
বারবোটে ঝুলন্ত সেতু

সেতুটি কোথায় অবস্থিত ?

পুমং বারবোটের ঝুলন্ত সেতু দার্জিলিংয়ের তাকদহের গেইলে বানজিয়াং-এ অবস্থিত । গেইলে বানজিয়াংয়ে একটি মাত্র পর্যটনস্থল রয়েছে । আর তা হল ওই ব্রিজ । জায়গাটি দার্জিলিঙের মল (পরিচিত ম্যাল হিসেবে) থেকে মাত্র 23 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । 1916 সালে ব্রিটিশরা কলকাতার একটি সংস্থাকে দিয়ে ওই সেতুটি নির্মাণ করিয়েছিল । মূলত সেই সময় পুমং, জিঙ্গলাম ও নামরিং নামে তিনটি বিখ্যাত ও সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত চা বাগান ছিল ।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতে রেকর্ড ভিড়! অতীতের সব নজির ভাঙল বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানা

সমতল থেকে 17 হাজার ফিট উচ্চতায় 475 হেক্টর জমিতে ছিল সেই চা বাগান । সেই সময় ওই তিন চা বাগানে চিনা পাতা, ক্লোনাল ও অসম প্রজাতির উন্নতমানের চা উৎপাদন হত । কিন্তু যোগাযোগের মাধ্যম না থাকায় সেই সময় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল ।

সেতু নির্মাণের ইতিহাস

বিষয়টি নজরে আসে ব্রিটিশদের । তারা কলকাতার সংস্থাকে দিয়ে 1916 সালে ওই সেতুটি নির্মাণ করায় । সেতুটির মাধ্যমে ছোট ছোট ঠেলা গাড়িতে চা পাতা কারখানায় পাঠানো হত । তবে বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কায় ওই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ওই সেতুটির আশপাশে ঘোরার জায়গাগুলি হল রংলির রংলিয়ত চা বাগান, তাকদাহ চা বাগান । এছাড়াও পুমং জলপ্রপাত রয়েছে ।

স্বনির্ভর হচ্ছেন স্থানীয়রা

এই সেতুকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা । এলাকার মানুষের দাবি, আগামী দিনে ওই সেতুটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে । তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে এসে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন । সেইসঙ্গে এই শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।

পাশেই নির্মিত স্থায়ী সেতু

যদিও সম্প্রতি সাধারণ মানুষের জন্য ওই ঝুলন্ত সেতুর পাশে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছে জিটিএ । ফলে ওই স্থায়ী সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুকে দেখে অল্প হলেও সেখানে সময় কাটান । স্থানীয় এলাকাবাসী বিপিন রাই ও নেওয়াস রাই বলেন, "এই সেতু ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলছে । এখন এখানে ধীরে ধীরে দোকানপাটও গড়ে উঠছে । মানুষ পেয়েছে নয়া রোজগারের পথ ৷"

বারবোটে ঝুলন্ত সেতু পর্যটনের নয়া ঠিকানা

দার্জিলিং, 13 জানুয়ারি: পাহাড় মানেই চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । পাহাড় মানেই অজানার খোঁজে ঘুড়ে বেড়ানো । পাহাড়ে যতই ঘোরা যাক না কেন, প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গার আবিস্কার করায় একটা আলাদা প্রাপ্তি । পাহাড় মানে শুধু দার্জিলিংয়ের (Darjeeling Tourist Spot) ঘুম বা মিরিক নয় । এখন পাহাড়ে শান্তির খোঁজে আনাচে কানাচে পৌঁছে যেতে চাইছেন পর্যটকরা ।

পাহাড়ে জড়িয়ে ইতিহাস

কিন্তু পাহাড়েও ইতিহাস কম নেই । পাহাড় জুড়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের নানা ইতিহাস (British Era Bridge)। যেমন জড়িয়ে রয়েছে গিদ্ধা পাহাড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মংপংয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দার্জিলিংয়ে সিস্টার নিবেদিতার স্মৃতি । এ সবের পাশাপাশি পাহাড়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি নানা নিদর্শন । যাকে ঘিরে এখন পর্যটকদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই । সে রকমই হল দার্জিলিংয়ের পুমং চা বাগান সংলগ্ন ব্রিটিশ আমলের ঝুলন্ত সেতু (Barbotey Hanging Bridge)। যা আজও বয়ে নিয়ে চলছে সেই সময়ের ইতিহাস ।

পর্যটনের নয়া ঠিকানা বারবোটে ঝুলন্ত সেতু

পর্যটনের মরশুমে দার্জিলিং ঘুরতে যান অনেকেই । কিন্তু এমনও একটি জায়গা রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা । পাহাড়ে থাকা ঐতিহাসিক বারবোটে ঝুলন্ত সেতু দার্জিলিংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে (New Tourist Destination)। দার্জিলিংয়ের তাকদহের পুমং চা-বাগান এলাকায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি বারবোটে ঝুলন্ত সেতু । সেই ব্রিজকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা । ব্রিটিশ আমলের এই ঝুলন্ত সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক যেতে শুরু করেছেন । ইতিমধ্যেই ওই সেতুকে কেন্দ্র করে এলাকায় দোকান, হোম স্টে গড়ে উঠেছে । এ ছাড়াও ব্রিজের কারণে স্থানীয় চালকরাও অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেয়েছেন ।

Barbotey Hanging Bridge ETV Bharat
বারবোটে ঝুলন্ত সেতু

সেতুটি কোথায় অবস্থিত ?

পুমং বারবোটের ঝুলন্ত সেতু দার্জিলিংয়ের তাকদহের গেইলে বানজিয়াং-এ অবস্থিত । গেইলে বানজিয়াংয়ে একটি মাত্র পর্যটনস্থল রয়েছে । আর তা হল ওই ব্রিজ । জায়গাটি দার্জিলিঙের মল (পরিচিত ম্যাল হিসেবে) থেকে মাত্র 23 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । 1916 সালে ব্রিটিশরা কলকাতার একটি সংস্থাকে দিয়ে ওই সেতুটি নির্মাণ করিয়েছিল । মূলত সেই সময় পুমং, জিঙ্গলাম ও নামরিং নামে তিনটি বিখ্যাত ও সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত চা বাগান ছিল ।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতে রেকর্ড ভিড়! অতীতের সব নজির ভাঙল বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানা

সমতল থেকে 17 হাজার ফিট উচ্চতায় 475 হেক্টর জমিতে ছিল সেই চা বাগান । সেই সময় ওই তিন চা বাগানে চিনা পাতা, ক্লোনাল ও অসম প্রজাতির উন্নতমানের চা উৎপাদন হত । কিন্তু যোগাযোগের মাধ্যম না থাকায় সেই সময় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল ।

সেতু নির্মাণের ইতিহাস

বিষয়টি নজরে আসে ব্রিটিশদের । তারা কলকাতার সংস্থাকে দিয়ে 1916 সালে ওই সেতুটি নির্মাণ করায় । সেতুটির মাধ্যমে ছোট ছোট ঠেলা গাড়িতে চা পাতা কারখানায় পাঠানো হত । তবে বর্তমানে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কায় ওই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ওই সেতুটির আশপাশে ঘোরার জায়গাগুলি হল রংলির রংলিয়ত চা বাগান, তাকদাহ চা বাগান । এছাড়াও পুমং জলপ্রপাত রয়েছে ।

স্বনির্ভর হচ্ছেন স্থানীয়রা

এই সেতুকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা । এলাকার মানুষের দাবি, আগামী দিনে ওই সেতুটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে । তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে এসে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন । সেইসঙ্গে এই শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ।

পাশেই নির্মিত স্থায়ী সেতু

যদিও সম্প্রতি সাধারণ মানুষের জন্য ওই ঝুলন্ত সেতুর পাশে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছে জিটিএ । ফলে ওই স্থায়ী সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুকে দেখে অল্প হলেও সেখানে সময় কাটান । স্থানীয় এলাকাবাসী বিপিন রাই ও নেওয়াস রাই বলেন, "এই সেতু ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলছে । এখন এখানে ধীরে ধীরে দোকানপাটও গড়ে উঠছে । মানুষ পেয়েছে নয়া রোজগারের পথ ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.