বালুরঘাট, 3 জুন : এলাকার স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল বালুরঘাট খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দারা। গতরাতে স্থানীয়রা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিনে রাখার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মোট 293টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বালুরঘাটে 26টি, হিলিতে 8টি, কুমারগঞ্জে 17টি, তপনে 66টি, গঙ্গারামপুর 47টি, বংশীহারীতে 34টি, কুশমণ্ডিতে 81টি এবং হরিরামপুরে 14টি স্কুলকে কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের এইসব স্কুলেই রাখা হবে।
বালুরঘাট শহর সংলগ্ন খিদিরপুর হাইস্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাইস্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। স্কুলের সীমানা লাগোয়া বাড়ি থাকায় প্রথমে খিদিরপুর হাইস্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার না করার আবেদন জানায় স্থানীয়রা। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এই স্কুলেই কোয়ারানটিন সেন্টার হবে। বিষয়টি জানতে পেরে গতরাতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাট বাসন্তী বাগান এলাকায় ভিনরাজ্য থেকে আসা এক মহিলা বাড়িতে প্রবেশ করায় শোরগোল পড়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ওই মহিলাকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্চিতা হালদার জানান, স্কুলের প্রাচীরের সঙ্গে তাঁদের বাড়ি রয়েছে। স্কুল থেকে থুতু ফেললে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পড়বে। পাশেই টিউবওয়েল রয়েছে। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। তাই আতঙ্ক থেকেই যায়। তাই স্কুলের যে পাশে তাঁদের বাড়ি আছে সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের না রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখবে বলে জানিয়েছে। তাই পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে তাঁরা কোনওভাবে স্কুলের বাইরে বেরোতে না পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।
অন্যদিকে এবিষয়ে DSP হেড-কোয়ার্টার ধীমান মিত্র জানান, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থানে যান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।