কুশমণ্ডি, 24 জুন : কুশমণ্ডিতে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা । প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ । মূলত জলনিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আজ এই বিক্ষোভ দেখায় তারা ।
কুশমণ্ডি ব্লকে আমিনপুর বটতলা এলাকায় নেই নিকাশি ব্যবস্থা । তার প্রতিবাদে কুশমণ্ডি-বুনিয়াদপুর রাজ্য সড়ক পথ অবরোধ করে এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা । অবশেষে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ ও কুশমণ্ডি ব্লকের যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (BDO) সোহম চৌধুরি ঘটনাস্থানে যান । কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । এরপর স্বাভাবিক হয় যাহনবাহন চলাচল । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জল নিকাশির কাজ না করায় জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে । কৃষকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । তাই আজ এই বিক্ষোভ অবরোধে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ।
কুশমণ্ডি ব্লকের আমিনপুর এলাকার প্রায় নয়টা গ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে । পূর্তদপ্তর সরকারি জমির উপর ছোটো দোকান করেছে । ফলে বর্ষার সময় জল জমে যায় পূর্ব ও পশ্চিম দুই দিকের ধান জমিতে । কৃষকদের ফসল নষ্ট হয় । এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই । যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার কৃষকদের । নিকাশি নালার কথা বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ ।
এর মধ্যেই কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় এলাকা । ডুবে যায় এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর । ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার আমিনপুর বটতলা এলাকায় কুশমণ্ডি বুনিয়াদপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষভ দেখায় গ্রামের মানুষ । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় । পথ অবরোধের জেরে রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় । অবশেষে খবর পেয়ে আসে কুশমণ্ডি থানার পুলিশ । ঘটানাস্থানে পৌঁছান কুশমণ্ডি ব্লকের যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সোহম চৌধুরি । কুশমণ্ডি ব্লক প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘন্টা পরে ওঠে এই অবরোধ ।
এই বিষয়ে এলাকাবাসী জাহাঙ্গির হোসেন জানান, কুশমণ্ডি ব্লকের আমিনপুর বটতলা এলাকায় পূর্তদপ্তর সরকারি জমি উপর ছোটো দোকান করেছে । ফলে বর্ষার সময় জল জমে য়ায় । কৃষকদের ফসল নষ্ট হয় । নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় প্রচুর জল জমে থাকছে । তিনি বলেন, “আমাদের চাষ করতে অসুবিধা হয় । বহুবার আমরা ব্লক প্রশাসন সহ পঞ্চায়েতকেও জানিয়েছি । তাও কোনও কাজ হয়নি । সেই কারণে আজ এই অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।”
সোহম চৌধুরি বলেন, “এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা । কৃষকদের ফসল নষ্ট হচ্ছে । তাই গ্ৰামবাসী বিক্ষোভ করেছেন । জলনিকশি ব্যবস্থার কাজ শুরু হবে ।”