ETV Bharat / state

ক্যানসার রোগী ও এক শিশুকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন বালুরঘাটের দুই শিক্ষক - লকডাউন

কুমারগঞ্জ ব্লকের রাইখন গ্রামের অধিবাসী কবিতা রায় । স্বামী নেই । দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছেন । বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়মিত তাঁর কেমাথেরাপি চলে । লকডাউনের ফলে সময়মতো কেমাথেরাপি না নেওয়ার কারণে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে ।

BALURGHAT
BALURGHAT
author img

By

Published : May 7, 2020, 9:05 PM IST


বালুরঘাট, 7 মে : বিরল বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার প্রাণ বাঁচালেন বালুরঘাটের এক প্রাথমিক শিক্ষক । অন্যদিকে নিজের জন্মদিনে রক্তদান করলেন বালুরঘাট কলেজের এক অধ্যাপক । লকডাউন ও কোরোনার জন্য জেলাজুড়েই দেখা দিয়েছে তীব্র রক্ত সংকট । এই অবস্থায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বেচ্ছায় রক্তদান করছে ।

কুমারগঞ্জ ব্লকের রাইখন গ্রামের অধিবাসী কবিতা রায় । স্বামী নেই । দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছেন । বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়মিত তাঁর কেমাথেরাপি চলে । লকডাউনের ফলে সময়মতো কেমাথেরাপি না নেওয়ার কারণে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে । এরপর ওই মহিলাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষার পর জানা যায় শীঘ্রই রক্তের প্রয়োজন । তবে মহিলার বি নেগেটিভ রক্ত হওয়ায় তা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে । রক্ত না দিলে কেমোথেরাপি সম্ভব নয় । বহু চেষ্টার পরও রক্তের সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার । এই সময় বালুরঘাটের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক বিভাস দাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয় পরিবারের । এরপর কবিতা দেবীকে বি নেগেটিভ রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান বিভাস ।

BALURGHAT
রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন...
অপরদিকে, জেলাজুড়ে রক্ত সংকটের মধ্যে নিজের জন্মদিনে রক্তদান করলেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক দুলাল বর্মণ । তিনি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা এলাকার বাসিন্দা । এইবার তাঁর 29তম জন্মদিন ।

বুধবার বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান করেন দুলাল । নিজের জন্মদিনে বরাবরই একটু অন্যরকম ভাবে পালন করে দুলাল । এবারও তার অন্যথা হয়নি । লকডাউনের মধ্যে রক্ত সংকট চরম আকার নিয়েছে । তাই এইবারে সংকট মেটাতে রক্তদানের সিদ্ধান্ত নেন ।

এই বিষয়ে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস দাস জানান, এর আগেও কবিতা দেবীকে তিনি রক্ত দিয়েছিলেন । এবার রক্ত লাগবে জানতে পেরেই আবারও রক্ত দেন । এবং আরও একজনকে রক্ত দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দেন । তাঁর দেহের বিরল গ্রুপের বি-নেগেটিভ রক্ত । তাই রক্তদান শিবিরে সচরাচর রক্তদান করেন না । আপদকালীন সময়ে রক্তদান করে থাকেন ।

অন্য দিকে এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক দুলাল বর্মণ জানান, তাঁর দেওয়া রক্ত 10মাস বয়সের এক শিশুকে দেওয়া হয়েছে । শিশুটির রক্তের প্রয়োজন ছিল । তাঁর রক্তে সুস্থ রয়েছে শিশুটি । বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর ভাল লাগছে ।


বালুরঘাট, 7 মে : বিরল বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার প্রাণ বাঁচালেন বালুরঘাটের এক প্রাথমিক শিক্ষক । অন্যদিকে নিজের জন্মদিনে রক্তদান করলেন বালুরঘাট কলেজের এক অধ্যাপক । লকডাউন ও কোরোনার জন্য জেলাজুড়েই দেখা দিয়েছে তীব্র রক্ত সংকট । এই অবস্থায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বেচ্ছায় রক্তদান করছে ।

কুমারগঞ্জ ব্লকের রাইখন গ্রামের অধিবাসী কবিতা রায় । স্বামী নেই । দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছেন । বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়মিত তাঁর কেমাথেরাপি চলে । লকডাউনের ফলে সময়মতো কেমাথেরাপি না নেওয়ার কারণে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে । এরপর ওই মহিলাকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষার পর জানা যায় শীঘ্রই রক্তের প্রয়োজন । তবে মহিলার বি নেগেটিভ রক্ত হওয়ায় তা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে । রক্ত না দিলে কেমোথেরাপি সম্ভব নয় । বহু চেষ্টার পরও রক্তের সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার । এই সময় বালুরঘাটের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক বিভাস দাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয় পরিবারের । এরপর কবিতা দেবীকে বি নেগেটিভ রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান বিভাস ।

BALURGHAT
রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন...
অপরদিকে, জেলাজুড়ে রক্ত সংকটের মধ্যে নিজের জন্মদিনে রক্তদান করলেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক দুলাল বর্মণ । তিনি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা এলাকার বাসিন্দা । এইবার তাঁর 29তম জন্মদিন ।

বুধবার বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান করেন দুলাল । নিজের জন্মদিনে বরাবরই একটু অন্যরকম ভাবে পালন করে দুলাল । এবারও তার অন্যথা হয়নি । লকডাউনের মধ্যে রক্ত সংকট চরম আকার নিয়েছে । তাই এইবারে সংকট মেটাতে রক্তদানের সিদ্ধান্ত নেন ।

এই বিষয়ে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস দাস জানান, এর আগেও কবিতা দেবীকে তিনি রক্ত দিয়েছিলেন । এবার রক্ত লাগবে জানতে পেরেই আবারও রক্ত দেন । এবং আরও একজনকে রক্ত দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দেন । তাঁর দেহের বিরল গ্রুপের বি-নেগেটিভ রক্ত । তাই রক্তদান শিবিরে সচরাচর রক্তদান করেন না । আপদকালীন সময়ে রক্তদান করে থাকেন ।

অন্য দিকে এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক দুলাল বর্মণ জানান, তাঁর দেওয়া রক্ত 10মাস বয়সের এক শিশুকে দেওয়া হয়েছে । শিশুটির রক্তের প্রয়োজন ছিল । তাঁর রক্তে সুস্থ রয়েছে শিশুটি । বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর ভাল লাগছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.