বালুরঘাট, 9 ফেব্রুয়ারি: "BJP মাথা নাড়লে পাঁজি পুঁথি দেখে পৌরসভার নির্বাচন ঘোষণা করবে তৃণমূল৷" দুই দলকেই কটাক্ষ করে বললেন নিখিল বঙ্গ মহিলার সংঘের রাজ্য কমিটির সদস্যা ছায়া রায়৷ বালুরঘাটে নিখিলবঙ্গ মহিলা সংঘের প্রকাশ্য সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি৷
বালুরঘাট পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বামফ্রন্টের সময়ে আমরা দেখেছি পাঁচ বছর অন্তর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হত। এটাই ভারতের সংবিধানের নিয়ম। পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হবে, সেটা বিধানসভা-লোকসভা হোক বা পৌরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ অথচ এক বছরের উপরে হয়ে গেল বালুরঘাট পৌরসভার নির্বাচন হয়নি৷ এখনও তারা পাঁজি দেখছে। কবে তাদের সময় হবে, কবে BJP একটু মাথা নাড়াবে, তারপর তাঁরা নির্বাচন ঘোষণা করবেন৷"
শনিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট মিউজ়িয়ামের সামনে নিখিলবঙ্গ মহিলা সংঘের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ তার আগে বালুরঘাট নাট্য মন্দির থেকে একটি মিছিল করা হয়। মিছিলটি সারা শহর পরিক্রমা করে বালুরঘাট মিউজিয়ামের সামনে শেষ হয়৷ আজকের মিছিলে শতাধিক মহিলা কর্মী সমর্থক পায়ে পা মেলান। প্রকাশ্য সমাবেশে হাজির ছিলেন নিখিল বঙ্গ মহিলা সংঘের রাজ্য সম্পাদিকা সর্বাণী ভট্টাচার্য, রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা বিশ্বাস, রাজ্য নেত্রী শ্যামলিকা সরকার, বালুরঘাটের বিধায়ক তথা RSP-এর রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরি, RSP-এর বর্ষীয়ান নেতা বিমলেন্দু সরকার সহ অন্যরা৷
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল শাসিত বালুরঘাট পৌরসভার মেয়াদ ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে শেষ হয়েছে৷ তারপর থেকে বালুরঘাট পৌরসভা প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে৷ এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নাগরিক পরিষদ ব্যহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এদিনের প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে নিখিলবঙ্গ মহিলার সংঘের রাজ্য কমিটির সদস্যা ছায়া রায় আরও বলেন, "সাধারণ মানুষকে পৌরসভার ঘর নিতে গেলে এখন কাটমানি দিতে হয়। কাটমানি না দিলে সরকারি ঘর দেওয়া হয় না। এমনকী যে ব্যক্তি ঘর পেয়েছেন তাঁকে বারবার ঘর পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে৷"