ETV Bharat / state

প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি SC কমিশনের, ঘরে ফিরলেন কুমারগঞ্জের মৃতার বাবা-মা - কুমারগঞ্জে গণধর্ষণ ও খুন

মৃতার বাবা, মা ও দাদাকে উদ্ধার করে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সাতদিনের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট জমা করতে বলা হয়েছে । অন্যথায় DGP, হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে কমিশন তলব করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা । সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে ওই পরিবারের জন্য তিন মাসের রেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা ।

গঙ্গারামপুর
SC Commission's warning
author img

By

Published : Jan 13, 2020, 11:43 PM IST

গঙ্গারামপুর, ১৩ জানুয়ারি : কুমারগঞ্জে গণধর্ষণের পর খুন হওয়া কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে না পারায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে আইনি হুঁশিয়ারি দিল জাতীয় SC কমিশনের প্রতিনিধিরা । প্রয়োজনে DGP থেকে শুরু করে হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করা হবে বলে জানানো হয় । দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময়সীমা দেয় SC কমিশনের সদস্যরা ।

গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসেন জাতীয় SC কমিশনের চার প্রতিনিধি । তাঁরা গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে মৃতার বাড়িতে যান । সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । এছাড়াও ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তসহ অন্য পুলিশ ও প্রশাসনিক আধকারিকরা । এই বিষয়ে জাতীয় এসসি কমিশনের পশ্চিমবঙ্গ এবং নর্থ ইষ্ট জ়োনের দায়িত্বে থাকা ডঃ যোগেন্দ্র পেশোয়ার বলেন, "এটি একটি নিকৃষ্টতম ও নিন্দনীয় ঘটনা । তিনজন অপরাধীকে আইনি পথে শাস্তি দিতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নিতে হবে । "

তিনি আরও বলেন , "এই ব্যাপারে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে । সার্কিট হাউজ়ে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । সেখানে স্পষ্টভাবে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, SC ST এক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 325 এবং 31 W2 ধারাও প্রয়োগ করতে হবে । রাজ্য সরকার SC ST সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ ।"

মৃতার বাবা, মা ও দাদাকে উদ্ধার করে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সাতদিনের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট জমা করতে বলা হয়েছে । অন্যথায় DGP, হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে কমিশন তলব করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা । সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে ওই পরিবারের জন্য তিন মাসের রেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা । এদিকে কমিশনের হুঁশিয়ারির পরই বাড়িতে ফিরে আসেন মৃতার বাবা, মা , ও দাদা । কোথায় ছিলেন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তাঁরা ।

গঙ্গারামপুর, ১৩ জানুয়ারি : কুমারগঞ্জে গণধর্ষণের পর খুন হওয়া কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে না পারায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে আইনি হুঁশিয়ারি দিল জাতীয় SC কমিশনের প্রতিনিধিরা । প্রয়োজনে DGP থেকে শুরু করে হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করা হবে বলে জানানো হয় । দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময়সীমা দেয় SC কমিশনের সদস্যরা ।

গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসেন জাতীয় SC কমিশনের চার প্রতিনিধি । তাঁরা গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে মৃতার বাড়িতে যান । সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাটের BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । এছাড়াও ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তসহ অন্য পুলিশ ও প্রশাসনিক আধকারিকরা । এই বিষয়ে জাতীয় এসসি কমিশনের পশ্চিমবঙ্গ এবং নর্থ ইষ্ট জ়োনের দায়িত্বে থাকা ডঃ যোগেন্দ্র পেশোয়ার বলেন, "এটি একটি নিকৃষ্টতম ও নিন্দনীয় ঘটনা । তিনজন অপরাধীকে আইনি পথে শাস্তি দিতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নিতে হবে । "

তিনি আরও বলেন , "এই ব্যাপারে কমিশন নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে । সার্কিট হাউজ়ে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । সেখানে স্পষ্টভাবে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, SC ST এক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে 325 এবং 31 W2 ধারাও প্রয়োগ করতে হবে । রাজ্য সরকার SC ST সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ ।"

মৃতার বাবা, মা ও দাদাকে উদ্ধার করে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সাতদিনের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট জমা করতে বলা হয়েছে । অন্যথায় DGP, হোম সেক্রেটারি, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে কমিশন তলব করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা । সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে ওই পরিবারের জন্য তিন মাসের রেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশনের সদস্যরা । এদিকে কমিশনের হুঁশিয়ারির পরই বাড়িতে ফিরে আসেন মৃতার বাবা, মা , ও দাদা । কোথায় ছিলেন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তাঁরা ।

Intro:কুমারগঞ্জ কাণ্ডে মৃতার বাড়ি গিয়ে পরিবারকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ জাতীয় এসসি কমিশনের, জেলা পুলিশ প্রশাসনকে আইনি হুশিয়ারি।।

গঙ্গারামপুর, ১৩ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জ কাণ্ডে মৃতার বাড়ি গেলেন জাতীয় এসসি কমিশনের চার প্রতিনিধি দল। এদিকে এদিনও মৃতার পরিবারকে না পাওয়ায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে আইনি হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় এসসি কমিশনের প্রতিনিধি দল। প্রয়োজনে ডিজিপি থেকে শুরু করে হোম সেক্রেটারি, জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করা হবে বলে সাফ জানানো হয়। মৃত যুবতিরর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে সবরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি এর জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনকে এক সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ধর্ষণের পর হত্যা করে যুবতীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসেন জাতীয় এসসি কমিশনের চারজন প্রতিনিধি। তারা এদিন সকালে গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামে মৃতার বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এছাড়া ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত সহ অন্যান্য পুলিশ ও প্রশাসনিক আধকারিক। তবে ওই বাড়িতে এদিনও পাওয়া যায়নি মৃতার বাবা, মা এবং দাদাকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই দলের প্রতিনিধিরা। তবে বাড়ির অন্যান্য লোকেদের কাছে বিস্তারিত শোনেন তারা।

এবিষয়ে জাতীয় এসসি কমিশনের পশ্চিমবঙ্গ এবং নর্থ ইষ্ট জোনের দায়িত্বে থাকা ডঃ যোগেন্দ্র পেশোয়ার বলেন, এটি একটি নিকৃষ্টতম ও নিন্দনীয় ঘটনা। তিনজন অপরাধীকে আইনি পথে শাস্তি দিতে যা যা আইনি পদ্ধতি আছে তা প্রয়োগ করতে হবে। এই ব্যাপারে আয়োগ (কমিশান) নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। আগের দিন সার্কিট হাউসে বসে জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে স্পষ্টভাবে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এসসি এসটি এক্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩২৫ এবং ৩১ ডাব্লু টু ধারাও প্রয়োগ করতে হবে। অপরাধী যেই হোক বাঁচবে না। তিনি মনে করেন, এখানকার রাজ্য সরকার তফশীলী জাতি উপজাতিদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। এদের জন্য যেভাবে কাজ করার কথা তাতে ব্যর্থতা উঠে এসেছে।

এদিকে মৃতার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা, বাবা, দাদা বাড়ি ফেরেনি কাল থেকে। পুলিশের দায়িত্ব নিঁখোজ ওই তিনজনকে বাড়িতে নিয়ে আসার। তাদের সুরক্ষার দায়িত্বও পুলিশের। মৃতার বাবা, মা এবং দাদাকে উদ্ধার করে পুরো সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সাতদিনের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট জমা করতে বলা হয়েছে। নইলে ডিজিপি, হোম সেক্রেটারি, জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে কমিশন তলব করবে। আইনি পথে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পীড়িত পরিবারকে ৪,১২,৫০০ টাকা চেক দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। সেইভাবেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার পাশাপাশি ওই পরিবারের জন্য তিন মাসের রেশনের ব্যবস্থা স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে দিতে বলা হয়েছে।Body:Gangarampur Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.