ETV Bharat / state

শিক্ষকদের 10 মাস বেতন বন্ধ - teachers and non teaching staffs are not getting salary for last 10 months

10 মাস ধরে বন্ধ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন ৷ প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ পড়ুয়াদের বৃত্তি ৷ সমস্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ।

বন্ধ শিক্ষকদের বেতন
author img

By

Published : Sep 6, 2019, 3:04 AM IST

বালুরঘাট, 6 সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ 10 মাস বন্ধ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন ৷ প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ৷ বেতন ও বৃত্তি না মেলায় আগ্রহ হারাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ৷

এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক সজল দাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "প্রায় দশ মাস ধরে বেতন পাইনি ৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ সদুত্তর মেলেনি ৷ ওদের বক্তব্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রেনিং-এ গেছে ৷ ফেরার পর সুরাহা হবে ৷ আমরা আতঙ্কিত কারণ এর আগে 2011 সালে 2 মাসের বেতন পাইনি ৷ খুব সামান্য বেতনে কাজ করি ৷ তারপরও সেটা অনিয়মিত ৷ আর্থিক সংকটে ভুগছি ৷ এ অবস্থায় কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ৷ পড়ুয়ারাও বৃত্তি পাচ্ছে না ৷"

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক স্কুল রয়েছে 3টি NGO-র অধীনে ৷ ভারতীয় রেড ক্রস, সেন্ট জন্স ও টেগর সোসাইটি ৷ 40টির মধ্যে 15টি ভারতীয় রেড ক্রসের অধীনে ৷ 2টি-র দেখাশোনা করে সেন্ট জন্স ৷ বাকি 23টি রয়েছে টেগর সোসাইটির অধীনে ৷ এক একটি স্কুলে কম বেশি 50 জন করে 1800-র বেশি পড়ুয়া রয়েছে । শিক্ষক অশিক্ষক মিলে ৪ জন করে ১৬০ জন কর্মী রয়েছেন । এছাড়াও ১৪ জন কারিগরি শিক্ষক রয়েছেন জেলায় । এইসব স্কুলে মূলত স্কুল ছুট শিশু শ্রমিকদের পড়ানো হয় । কর্মীদের বেতন হয় ছ'মাসের ব্যবধানে বছরে দু'বার ৷ স্কুলের পড়ুয়াদের বৃত্তি আগে ছিল প্রতি মাসে 100 টাকা ৷ এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রতি মাসে 400 টাকা ৷

এবিষয়ে জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিক তপন হালদার জানান, ছয় মাসের বিল একবারে হয় । পুরোনো, নতুন মিলিয়ে দু'টি বিল বাকি আছে । লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি বিল আগে আটকে ছিল । নতুন আরেকটি বিল বাকি রয়েছে । এটা শুধু এই জেলাতে নয়, গোটা রাজ্য ও দেশের শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা । যদিও তিনি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন । আশা করছেন পুজোর আগে বা পরে সবাই টাকা পেয়ে যাবেন ৷

বালুরঘাট, 6 সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ 10 মাস বন্ধ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন ৷ প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ৷ বেতন ও বৃত্তি না মেলায় আগ্রহ হারাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা ৷

এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক সজল দাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "প্রায় দশ মাস ধরে বেতন পাইনি ৷ প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ সদুত্তর মেলেনি ৷ ওদের বক্তব্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রেনিং-এ গেছে ৷ ফেরার পর সুরাহা হবে ৷ আমরা আতঙ্কিত কারণ এর আগে 2011 সালে 2 মাসের বেতন পাইনি ৷ খুব সামান্য বেতনে কাজ করি ৷ তারপরও সেটা অনিয়মিত ৷ আর্থিক সংকটে ভুগছি ৷ এ অবস্থায় কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে ৷ পড়ুয়ারাও বৃত্তি পাচ্ছে না ৷"

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট 40টি জাতীয় শিশু শ্রমিক স্কুল রয়েছে 3টি NGO-র অধীনে ৷ ভারতীয় রেড ক্রস, সেন্ট জন্স ও টেগর সোসাইটি ৷ 40টির মধ্যে 15টি ভারতীয় রেড ক্রসের অধীনে ৷ 2টি-র দেখাশোনা করে সেন্ট জন্স ৷ বাকি 23টি রয়েছে টেগর সোসাইটির অধীনে ৷ এক একটি স্কুলে কম বেশি 50 জন করে 1800-র বেশি পড়ুয়া রয়েছে । শিক্ষক অশিক্ষক মিলে ৪ জন করে ১৬০ জন কর্মী রয়েছেন । এছাড়াও ১৪ জন কারিগরি শিক্ষক রয়েছেন জেলায় । এইসব স্কুলে মূলত স্কুল ছুট শিশু শ্রমিকদের পড়ানো হয় । কর্মীদের বেতন হয় ছ'মাসের ব্যবধানে বছরে দু'বার ৷ স্কুলের পড়ুয়াদের বৃত্তি আগে ছিল প্রতি মাসে 100 টাকা ৷ এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রতি মাসে 400 টাকা ৷

এবিষয়ে জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিক তপন হালদার জানান, ছয় মাসের বিল একবারে হয় । পুরোনো, নতুন মিলিয়ে দু'টি বিল বাকি আছে । লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি বিল আগে আটকে ছিল । নতুন আরেকটি বিল বাকি রয়েছে । এটা শুধু এই জেলাতে নয়, গোটা রাজ্য ও দেশের শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা । যদিও তিনি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন । আশা করছেন পুজোর আগে বা পরে সবাই টাকা পেয়ে যাবেন ৷

Intro:১১ মাস ধরে বন্ধ বেতন, সমস্যায় শিশু শ্রমিক স্কুলের শতাধিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী।।

বালুরঘাট, ৫ সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের বেতন। প্রায় বছর দুয়েক ধরে বন্ধ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি। বেতন ও বৃত্তির অভাবে শিশু শ্রমিকের জন্য তৈরি স্কুল এখন প্রায় বন্ধের মুখে। এর ফলে অগ্রহ হারাচ্ছে কর্মী থেকে পড়ুয়ারা ল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কার্যত বন্ধের মুখেই ৪০ টি শিশু শ্রমিক স্কুল।

জানা গেছে, শিশু শ্রমিকের জন্য তৈরি হয়েছে জাতীয় শিশু স্কুল। ভারতীয় রেডক্রস, সেন্ট জন্স ও টেগর সোসাইটি এনজিও-র অধীনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রয়েছে ৪০ শিশু শ্রমিক স্কুল। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প হলেও এই তিনটি এনজিও সংস্থার অধিনে স্কুল গুলি চলে। ৪০ টি শিশু শ্রমিক স্কুলের মধ্যে ১৫ টি ভারতীয় রেড ক্রস, ২ টি সেন্ট জন্স ও বাকি ২৩ টি টেগর সোসাইটির অধিনে রয়েছে। একটি স্কুলে কম বেশি ৫০ জন করে মোট(১৮০০) মত পড়ুয়া রয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি স্কুলে শিক্ষক অশিক্ষক মিলে প্রায় ৪ জন কর্মী করে (১৬০) রয়েছেন। এছাড়াও ১৪ জন কারিগরি শিক্ষক রয়েছেন জেলায়। এইসব স্কুলে মূলত স্কুল ছুট শিশু শ্রমিকদের পড়ানো হয়। ছয় মাস পর পর কর্মীদের বেতন হয়।

অভিযোগ, ছয় মাস পর পর পর বেতন হলেও দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বেতন তারা পায় নি। এমনকি প্রায় দু'বছর ধরে বৃত্তি পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। ৪০০ টাকা করে মাসিক বৃত্তি পায় শিশু শ্রমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। সেই টাকাও না পাওয়ায় স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা দিন দিন কমছে। এমত অবস্থায় নিজেদের অভাব অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বারংবার দ্বারস্থ হয়েছেন শিশু শ্রমিক স্কুলের কর্মীরা। তবে লাভ কিছু হয়নি।

এবিষয়ে শিশু শ্রমিক স্কুলের শিক্ষক সজল দাস ও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, প্রায় দশ মাস ধরে তারা কোন রকম বেতন পাচ্ছেন না। তাদেরও সংসার আছে। বেতন না হওয়ায় তাদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মুদির দোকানে ধারে বাকিতে জিনিস দিচ্ছে না আর। সমাজে তাদের নিয়ে অন্য ধারনা তৈরি হচ্ছে। তাদের সঙ্গে বৃত্তি পাচ্ছে না পড়ুয়ারা।

অন্য দিকে এবিষয়ে জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিক তপন হালদার জানান, ছয় মাসের বিল একবারে হয়। পুরোনো নতুন মিলিয়ে দুটি বিল বাকি আছে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি বিল আগে আটকে ছিল। নতুন আরেকটি বিল বাকি রয়েছে। এটা শুধু এই জেলাতে নয় গোটা রাজ্য ও দেশের শিশু শ্রমিক বিদ্যালয় অবস্থা। এবিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। আশা করছেন পুজোর আগে বা পরে সব বিল পেয়ে যাবেন।


Body:Balurghat


Conclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.