বংশীহারি, 10 এপ্রিল: 2019 সালের মামলায় জামিন পেলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও মাফুজা খাতুনরা ৷ সোমবার বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে । গত লোকসভা নির্বাচনে সুকান্ত মজুমদারের জয়ের পর বুনিয়াদপুরে বিজয় মিছিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির এখনকার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ । সেই মামলার শুনানিতে এদিন গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ,মাফুজা খাতুন-সহ অন্যান্যরা ৷
তাঁদের হাজিরা দিতে আসাকে কেন্দ্র করে এদিন বংশীহারি থানার পক্ষ থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় কোর্ট মোড় এলাকায় । প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতে খালেদা মান্নানের এজলাসে বসে থাকার পরে অবশেষে জামিন হয় বালুরঘাটের সাংসদ-সহ অন্যান্য সবার ৷ পরবর্তীতে জামিন পাওয়ার পরেই বুনিয়াদপুর কোর্ট মোড় এলাকায় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে চায়ে পে চর্চার ব্যবস্থা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে । এখানে উপস্থিত ছিল মহকুমা আদালতে আসা প্রচুর লোকজন-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা । চায়ে পে চর্চাতে বিভিন্ন বিষয়ে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয় এদিন ।
বিজেপির আইনজীবী প্রদীপ সরকার জানান, সুকান্ত মজুমদার যখন লোকসভা ভোটে প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জেতে, সেই সময় বালুরঘাটের পাশাপাশি বুনিয়াদপুরেও একটি মিছিল করেন । মিছিল হওয়ার আগের দিন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে 144 ধারা জারি করা হয় । মিছিল করার কারণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-সহ মোট আটজনের নামে মামলা করে ৷ সেই মামলার হাজিরা দিতেই তাঁরা এদিন কোর্টে উপস্থিত হন । মহকুমা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে ।
এই বিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ তথা সুকান্ত মজুমদার বলেন, "2019 সালে বিজয় মিছিলের সময় দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন । সেই সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং বংশীহারি থানার পুলিশ আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে । এই মিথ্যে মামলার বিরুদ্ধে আমরা জামিনের আবেদন করি । মহামান্য আদালত হাজার টাকার বন্ডে আমাদের জামিন মঞ্জুর করেছে ।"
আরও পড়ুন: '100 দিনের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেতে দেব না', অভিষেককে জবাব সুকান্তর