বালুরঘাট, 9 জুলাই: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসন বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ৷ শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত ৷ তিনি জানান, বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপর অত্যাচারে খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জিপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তাঁকে ফোন করে সব খবর নিয়েছেন বিজেপির এই দুই শীর্ষ নেতা ৷ পাশাপাশি, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন ৷
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সব ঘটনার প্রতিবাদে দ্রুত আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান সুকান্ত ৷ সারাদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রায় একই চিত্র নজরে এসেছে ৷ বহু নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে ৷ সুকান্ত মজুমদার জানান, অনেক জায়গায় এই সব লাইনে ভোটারদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে ৷
সুকান্তর আরও দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের হাত ধরে সারা বাংলায় রক্তগঙ্গা বয়ে গিয়েছে ৷ নির্বাচনের নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার ও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই ব্যালট বাক্স বদলে দিচ্ছে তৃণমূল, চাঞ্চল্যকর দাবি অমিতের
2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলার অধ্যায়ে কালো দাগ হয়ে থাকবে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার শুরু থেকে রাজ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, ভোটের দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে না, গৃহযুদ্ধ হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: ভোটের দিন তৃণমূল শান্ত ছিল, নইলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ত; দাবি শান্তনুর
বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ভোট পরিচালনা করানো হয়েছে ৷ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ, ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিযুক্ত করা যাবে না ৷ তাই রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করেছে ৷ শাসকদলই রাজ্যেজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস ছড়িয়েছে ৷