বালুরঘাট, ২৬ ফেব্রুয়ারি: বেআইনিভাবে চলাচল করা পুলকার ও স্কুলবাসের প্রয়োজনীয় নথি পাঁচদিনের মধ্যে তৈরি করতে হবে। তা না হলে আগামী সপ্তাহ থেকে পুলকার ও স্কুলবাস ধরপাকড় শুরু হবে। গতকাল বালুরঘাট পুলিশ সুপারের অফিসে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলকার মালিক, চালক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এমনকী সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত পুলকার ও স্কুলবাসকে চলাচল করতে হবে বলেও জানান তিনি।
দিনকয়েক আগে হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক নাবালকের। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, বালুরঘাট শহরে ১৫টির বেশি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১০টি স্কুলের নিজস্ব বাস ও পুলকার রয়েছে। তাতে করে স্কুলে পড়ুয়ারা যাতায়াত করে। অনেক সময় দেখা যায়, এই স্কুলের বাসগুলি বহু পুরানো হয়ে গেছে। আবার অনেক নতুন নতুন গাড়িরও বৈধ কাগজপত্র নেই। আবার দেখা যায়, পুলকারে বাচ্চাদের নিয়ে খুব দ্রুত গতিতে যাওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে গতকাল বালুরঘাট পুলিশ সুপারের অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ছাড়াও ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস নন্দী, DSP (ট্র্যাফিক) অরিন্দম পাল চৌধুরি সহ বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রায় ৪০ জন গাড়ির চালক ও অভিভাবকরা।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, "কিছুদিন আগে হুগলিতে একটি পুলকারের দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই কারণে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে চায় প্রশাসন। সব স্কুলের পুলকার চালক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে স্কুল কয়েকদিন সময় চেয়ে নেয়। তাদের পাঁচদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে পুলকারগুলিকে নিয়মিত চেক করবে পুলিশ। নিয়ম লঙ্ঘন হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এবিষয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ জয়া বালন বলেন, "জেলা প্রশাসন থেকে পুলকারগুলির কাগজপত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা কিছুদিনের সময়সীমা চেয়েছি। তবে আমাদের গাড়িগুলি ঠিক রয়েছে।"