হরিরামপুর , 28 জুন : রোগীদের লাইন । অথচ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই । তাই রোগীদের সামলাচ্ছেন নার্সরা । নতুন যেসব চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের মধ্যেও দু'জন কাজে যোগ না দিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন । এমনই টালমাটাল পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ।
হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার, একজন অতিরিক্ত মেডিকেল অফিসার ও একজন BMOH ছিলেন । গতকাল চারজন ডাক্তারকে উচ্চশিক্ষার জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় । এরপর জেলা স্বাস্থ্যভবনের তরফে জেলার হাসপাতাল থেকে তিনজন ডাক্তারকে হরিরামপুরে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয় । কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের পুষ্পেন্দু চাকী, বালুরঘাট খাসপুর হাসপাতালের রাসেল হক । এছাড়াও গতবছর একটি বিতর্কিত ঘটনার জেরে এক মেডিকেল অফিসারকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । তাঁকে ফের যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু তিনি গতকাল কাজে যোগ না দিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন BMOH-এর কাছে । অন্যদিকে আরও এক মেডিকেল অফিসারের বুধবার হাসপাতালে যোগ দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু তিনিও BMOH-এর কাছে ইস্তফাপত্র দেন । এর ফলে ডাক্তারের অভাবে সমস্যায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে রোগীদের । হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নার্সরাই ডাক্তারদের ভূমিকায় প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন ।
ডাক্তার অসীম সরকার বলেন, "অনেক অসুবিধা হলেও রোগী দেখতে হচ্ছে । এভাবেই চলতে হবে কিছু করার নেই ।
হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের BMOH শেখ সৌভিক আলম জানান, চারজন ডাক্তারকে উচ্চশিক্ষার জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় । ডাক্তার শূন্য হরিরামপুর হাসপাতালের জন্য জেলা স্বাস্থ্য ভবন জেলার হাসপাতাল থেকে তিনজন ডাক্তারকে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন । কিন্তু একজন চিকিৎসক অসুস্থ বলে আসছেন না । এখন হাসপাতাল সামলানোর জন্য একজন চিকিৎসক নিযুক্ত রয়েছেন । তবে আশা করছি জেলাসদর দপ্তর খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করবে ।