তপন, 7 ডিসেম্বর : যুবতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার । মৃতার নাম লাবনী দাস (25)। তপন থানার হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সালাশ গম্ভীরাতলা এলাকার বাসিন্দা । গতকাল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে অনুমান পুলিশের । বিষয়টি পরিবারের নজরে আসতেই তাঁকে তপন গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ খবর পেতেই ঘটনাস্থানে আসে তপন থানার পুলিশ ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। প্রাথমিক তদন্তের পর গতকাল বিকেলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷
বছর আটেক আগে সম্পর্কে তৈরি হয় লাবনী ও শংকরের । শংকর পেশায় ব্যবসায়ী ৷ দুই জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয় ৷ লাবনীর বাবার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি এলাকায় । বর্তমানে তাঁদের একটি পাঁচ বছরের মেয়েও রয়েছে । অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল লাবনীর । বিষয়টি জানাজানি হতেই শুরু হয় সমস্যা। সেই সম্পর্কের জেরে গত ছয় মাস ধরে বাপের বাড়িতেই ছিল ওই গৃহবধূ । শনিবার বাপের লোকেরা লাবনীকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে যায় । তারপরই গতকাল সকালে স্বামী বাজার করতে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন লাবনী ।
আরও পড়ুন : আজ বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান , জায়গায় জায়গায় মোতায়েন পুলিশ
এ বিষয়ে লাবনীর শ্বশুরবাড়ি পরিবারের আত্মীয় পিন্টু দাস জানান, "লোকমুখে জানতে পারি, কিছু দিন আগে লাবনীর সঙ্গে কোনও এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তার জেরেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয় । আর এর কারণে বিগত ছয় মাস ধরে বাপের বাড়িতেই ছিল লাবনী । গতকাল তাঁর বাবা সহ বাপের বাড়ির লোকরা তাঁকে শ্বশুর বাড়ি দিয়ে যায়। তারপরই আজ সকালে এই ঘটনা । আমাদের অনুমান বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে লাবনী ।" যদিও যুবতির মৃত্যুর জন্য ছেলের পরিবারকেই দায়ি করেছে লাবনীর পরিবার ৷ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ ৷