ETV Bharat / state

প্রশাসনের উপর নির্ভর করবে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হবে কি না : সুকান্ত মজুমদার

আজ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র বালুরঘাট । ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্তবাবু বলেন, "গতকাল পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয় । একাধিক জায়গায় মারামারি ও গন্ডগোল হয়েছে । ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু স্পর্শকাতর বুথগুলিকে ফাঁকা রাখা হয়েছে । প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ থাকতে চায় তার উপর পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ।"

সুকান্ত মজুমদার
author img

By

Published : Apr 23, 2019, 10:05 AM IST

বালুরঘাট, 23 এপ্রিল : "ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা প্রশাসনের উপর নির্ভর করবে ।" বললেন বালুরঘাটের BJP প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার । সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু । পাশাপাশি এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতবেন বলেও আশা রাখছেন । আজ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র বালুরঘাট । ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্তবাবু বলেন, "গতকাল পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয় । একাধিক জায়গায় মারামারি ও গন্ডগোল হয়েছে । ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু স্পর্শকাতর বুথগুলিকে ফাঁকা রাখা হয়েছে । প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ থাকতে চায় তার উপর পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ।"

তিনি বলেন, "গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ি অঞ্চলে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা গুন্ডাগিরি চালায় । সেখানে একাধিক বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি । পাশাপাশি নন্দনপুরেও ফাঁকা রাখা হয়েছে । সবাই জানে সেখানে বরাবর ঝামেলা হয় । গতকাল রাতেও আমাদের পতাকা পোড়ানো হয়েছে । তিনি আরও বলেন, "বালুরঘাট সহরের অন্তর্গত বুথগুলিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । সেখানে সেরকম কোনও অশান্তি হয় না । সেখানে কেন্দ্রীয়বাহিনী না থাকলেও হত । ইচ্ছাকৃতভাবেই এগুলো করা হচ্ছে ।"

পাশাপাশি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে তিনি অভিযোগ করেন, "গঙ্গারামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গতরাত থেকেই গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে । গঙ্গারামপুরে গতকাল আমাদের এক কার্যকর্তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে । তাঁর মাথায় 11টা সেলাই করতে হয়েছে । হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । যারা এরকম ঘটনা ঘটায় তাদের হাতে গণতন্ত্র কতটা সুরক্ষিত তা প্রশ্নের বিষয় । আজ সকালেও অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে ।"

বালুরঘাট, 23 এপ্রিল : "ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা প্রশাসনের উপর নির্ভর করবে ।" বললেন বালুরঘাটের BJP প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার । সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু । পাশাপাশি এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতবেন বলেও আশা রাখছেন । আজ রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র বালুরঘাট । ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্তবাবু বলেন, "গতকাল পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয় । একাধিক জায়গায় মারামারি ও গন্ডগোল হয়েছে । ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু স্পর্শকাতর বুথগুলিকে ফাঁকা রাখা হয়েছে । প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ থাকতে চায় তার উপর পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ।"

তিনি বলেন, "গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ি অঞ্চলে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা গুন্ডাগিরি চালায় । সেখানে একাধিক বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি । পাশাপাশি নন্দনপুরেও ফাঁকা রাখা হয়েছে । সবাই জানে সেখানে বরাবর ঝামেলা হয় । গতকাল রাতেও আমাদের পতাকা পোড়ানো হয়েছে । তিনি আরও বলেন, "বালুরঘাট সহরের অন্তর্গত বুথগুলিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । সেখানে সেরকম কোনও অশান্তি হয় না । সেখানে কেন্দ্রীয়বাহিনী না থাকলেও হত । ইচ্ছাকৃতভাবেই এগুলো করা হচ্ছে ।"

পাশাপাশি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে তিনি অভিযোগ করেন, "গঙ্গারামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গতরাত থেকেই গন্ডগোলের খবর পাওয়া যাচ্ছে । গঙ্গারামপুরে গতকাল আমাদের এক কার্যকর্তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে । তাঁর মাথায় 11টা সেলাই করতে হয়েছে । হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । যারা এরকম ঘটনা ঘটায় তাদের হাতে গণতন্ত্র কতটা সুরক্ষিত তা প্রশ্নের বিষয় । আজ সকালেও অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে ।"

Intro:গাড়িতে সাধারণ মানুষ তুলতে বাঁধা দেওয়ায় ভোট কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, বালুরঘাট কলেজে ডিসিআরসি সেন্টারের সামনে ধর্না ভোট কর্মীর।।
বালুরঘাট, ২২ এপ্রিল: নির্বাচনের সরকারি গাড়িতে সাধারণ মানুষ তোলাকে কেন্দ্র করে এক ভোট কর্মী ও পুলিশ কর্মীর মধ্যে বচসা। ঘটনায় জয়ন্ত সরকার নামে এক ভোট কর্মীকে মারধর করা ও গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এর পরই ডিসিআরসি সেন্টার বালুরঘাট কলেজে ধর্নায় বসে ওই ভোট কর্মী। ঘটনায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি অন্যান্যও ভোট কর্মীরা একই দাবি তোলেন।
জানা গেছে, এদিন গঙ্গারামপুর থেকে ভোট কর্মীদের নিয়ে একটি বাস বালুরঘাটে আসছিল। রাস্তায় বাসটি থামিয়ে বাসের চালক ও কন্ডাক্টার সাধারণ যাত্রী ওঠান। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানান, গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা ভোট কর্মী জয়ন্ত সরকার। সরকারি গাড়িতে সাধারণ মানুষ তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই ওই ভোট কর্মীকে গাড়ির চালক, কন্ডাক্টরা মারধোর করে। বালুরঘাটের পার্কিংয়ে এসে তিনি সেখানকার এক পুলিশ কর্মীকে জানান। কিন্তু সেখানেও পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরের কথা ভোট কর্মী জয়ন্তবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখান থেকে তিনি বালুরঘাট কলেজ সেন্টারে এসে ধর্নায় বসেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলে। অন্য ভোট কর্মীদের জানাতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি জয়ন্তবাবু কলেজেই ধর্নায় বসে। পরে অবশ্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ধর্না তুলে নেন তিনি। এদিকে অন্যান্য ভোট কর্মীরা প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন,
এবিষয়ে আন্দোলনকারী ভোট কর্মী জয়ন্ত সরকার জানান, ডিসিআরসির নির্দিষ্ট বাসেই তারা গঙ্গারামপুর থেকে বালুরঘাটে আসছিলেন। আসার পথে দেখেন সেই গাড়িতে সাধারণ মানুষদের তুলছেন চালক ও খালাসি। এনিয়ে বচসা শুরু হয়। এবং তাকে মারধর করা হয়। এনিয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে তার কথা তো শোনেই না উলটে তাকা মারধর করে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে আসেন সেখানেও তাদের কথা শোনা হয়নি। বলা হয় আপনারা লিখিত ভাবে জমা দেন এবং আপনাদের উপর বিশেষ নজর রাখা হবে।

অন্য দিকে নিখিল সরকার, গৌতম মণ্ডল বলেন, তারা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্য পুলিশকে নিয়ে। তাই তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এই ব্যাপারে তারা সেক্টর অফিসারকেও জানিয়েছেন।Body:BalurghatConclusion:Balurghat
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.