বালুরঘাট, 2 নভেম্বর : এবছর কোরোনা পরিস্থিতির জেরে দীপান্বিতা অমাবস্যায় শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় মতে পুজো হবে বালুরঘাট বুড়াকালী মন্দিরে । পুজোর সময় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না ভক্তরা । এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে যাতে মন্দির চত্বরে ভিড় না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । জানান বালুরঘাট বুড়াকালী পুজো সমিতির সভাপতি শংকর চক্রবর্তী ৷
প্রত্যেক বছর দীপান্বিতা অমাবস্যা এবং চৈত্র মাসে পুজো হয় বালুরঘাট বুড়াকালী মন্দিরে । কোরোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর চৈত্র মাসেও শুধু শাস্ত্রমতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল । মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি ভক্তদের ।
কথিত আছে, একসময় আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়াকালী মাতার বিগ্রহ । এক তান্ত্রিক সেই সময় ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো শুরু করেন । একটা সময় নাকি রানি রাসমণিও এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন । বজরায় করে এসে মায়ের পুজো দিয়ে তিনি ফিরে যেতেন কলকাতায় ।
বর্তমানে বড় করে মন্দির তৈরি করা হয়েছে ৷ প্রতি বছর পুজোর দিন মাকে সোনা, রুপোর অলঙ্কার পরিয়ে সাজানো হয় । কয়েক হাজার ভক্ত মন্দিরে জমায়েত করেন ৷ এখানে পাঁঠাবলি, শোল মাছ বলির রীতি প্রচলিত রয়েছে ৷ আগে নাকি 20 কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত ।
এবছর কোরোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পুজো সম্পন্ন হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বুড়াকালী মন্দির পুজো সমিতির বৈঠক হয়েছে ৷ উপস্থিত ছিলেন পুজো সমিতির সভাপতি শংকর চক্রবর্তী, বালুরঘাট সদর মহকুমারশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, বালুরঘাট থানার IC গৌতম রায় ও অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।
এ বিষয়ে বালুরঘাট বুড়াকালী পুজো সমিতির সভাপতি শংকর চক্রবর্তী বলেন, এবার দীপান্বিতা অমাবস্যায় শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় মতে পুজো করা হবে । কোনও ভিড় বা জমায়েত করা যাবে না । পাশাপাশি ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না । পুজোর সময় নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র এবং পুজোর সঙ্গে যুক্ত হাতে গোনা কয়েকজন মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ।