ETV Bharat / state

প্রশান্ত মিত্রর পাশে গঙ্গারামপুরবাসী, প্রয়োজনে অনশনের ডাক - Biplab Mitra

অনাস্থার ছ'দিন পর নিজের শক্তি দেখাতে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ 13 জন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রশান্তবাবু ।

প্রশান্ত মিত্র
author img

By

Published : Jul 1, 2019, 11:45 PM IST

গঙ্গারামপুর, 1 জুলাই : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় গঙ্গারামপুরের সাধারণ মানুষ । সাফ কথা, তাঁরা এই অনাস্থা মানেন না । প্রয়োজনে অনশন শুরু করবেন । তাঁরা চান প্রশান্ত মিত্রই চেয়ারম্যান থাকুক । এদিকে অনাস্থার ছ'দিন পর নিজের শক্তি দেখাতে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ 13 জন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রশান্তবাবু ।

24 জুন BJP-তে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । গত 25 জুন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ন'জন তৃণমূল কাউন্সিলর । অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেছিলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুরসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।"

এদিকে গঙ্গারামপুর পৌরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ন'জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান । প্রশান্ত মিত্র আত্মবিশ্বসী, তিনি আস্থাভোটে জিতবেন । তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলেও কটাক্ষ করেন তিনি । বলেন, "২৫ জুন আমাদের কাউন্সিলাররা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন । পুর আইন অনুযায়ী সাতদিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে । ইতিমধ্যে ছ'দিন হয়ে গেছে । এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি আস্থা প্রমাণ করব । আমাদের গঙ্গারামপুর পৌরসভার সব কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন । নিয়মিত তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। "

গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, "আমরা ন'জন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি । আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি । ন'জন ছাড়া আমাদের সঙ্গে আরও দু'জন কাউন্সিলর যোগাযোগ রাখছেন । উনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখান না । চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকারপত্র দেখাছেন তা বহু পুরোনো । যখন বিপ্লববাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওঁর সঙ্গে ছিলাম । বর্তমানে উনি BJP-তে চলে গেছেন । আমরা ওঁকে আর মানি না ।"

গঙ্গারামপুর, 1 জুলাই : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় গঙ্গারামপুরের সাধারণ মানুষ । সাফ কথা, তাঁরা এই অনাস্থা মানেন না । প্রয়োজনে অনশন শুরু করবেন । তাঁরা চান প্রশান্ত মিত্রই চেয়ারম্যান থাকুক । এদিকে অনাস্থার ছ'দিন পর নিজের শক্তি দেখাতে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ 13 জন কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রশান্তবাবু ।

24 জুন BJP-তে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ । গত 25 জুন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ন'জন তৃণমূল কাউন্সিলর । অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেছিলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুরসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।"

এদিকে গঙ্গারামপুর পৌরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র । ন'জন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান । প্রশান্ত মিত্র আত্মবিশ্বসী, তিনি আস্থাভোটে জিতবেন । তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলেও কটাক্ষ করেন তিনি । বলেন, "২৫ জুন আমাদের কাউন্সিলাররা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন । পুর আইন অনুযায়ী সাতদিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়ে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে । ইতিমধ্যে ছ'দিন হয়ে গেছে । এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি আস্থা প্রমাণ করব । আমাদের গঙ্গারামপুর পৌরসভার সব কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন । নিয়মিত তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। "

গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, "আমরা ন'জন কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি । আজ পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি । ন'জন ছাড়া আমাদের সঙ্গে আরও দু'জন কাউন্সিলর যোগাযোগ রাখছেন । উনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখান না । চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকারপত্র দেখাছেন তা বহু পুরোনো । যখন বিপ্লববাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওঁর সঙ্গে ছিলাম । বর্তমানে উনি BJP-তে চলে গেছেন । আমরা ওঁকে আর মানি না ।"

Intro:
জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন প্রশান্ত মিত্র ।।

গঙ্গারামপুর ; ০১ জুলাই ;-28 জুন BJP-তে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন অর্পিতা । অর্পিতা জানিয়েছিলেন, প্রশান্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন তারা । গত 28 জুন সেই প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর । গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18টি ওয়ার্ড রয়েছে । সেখানে বিরোধী শূন্য বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । চেয়ারম্যান করা হয়েছিল প্রশান্তকে ।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।
গঙ্গারামপুর পুরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে দেখা গেলো পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে। তৃণমূল কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান নিজের দপ্তরে বসে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা শুনেলেন এবং সাতদিনের মধ্যে পুরসভায় আস্থা মিটিং ডেকে পাশ করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী প্রশান্ত বাবু । বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় গত ২৫ তারিখ প্রশান্ত মিত্র সহ তিন তৃণমূল নেতাকে বহিস্কার করেন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ও ২৫ তারিখেই প্রশান্ত বাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন নয়জন কাউন্সিলার । প্রশান্ত বাবু তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে জেলার উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার তৃণমূল তথা জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে তিনি কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন। তেরোজন কাউন্সিলারদের নাম লেখা একটি ঘোষণা পত্র প্রকাশ করেন যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন বিপ্লব বাবুর সাথে থেকে পুরসভা পরিচালনা করবেন। এছাড়াও বহিরাগত তৃণমূল জেলা সভাপতিকে যে তারা মানেন না তাও লিখা রয়েছে ঘোষণা পড়তে। যার কারণে তৃনমুলের অন্দরে বেজায় অস্বস্থি তৈরী হয়েছে। ঘোষণা পত্রে কোনো তারিখ লিখা না থাকায় কৌশলী জবাব দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা পত্রটি সত্য হলেও তা অনেক পুরোনো। চেয়ারম্যান মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখাক।
গঙ্গারামপুর পুরসভার বাসিন্দারা চেয়ারম্যান হিসাবে প্রশান্ত মিত্রকেই চাই ,যদি প্রশান্ত মিত্র চেয়ারম্যান না থাকে তাহলে পুরবাসি রাস্তায় অনশন করতে বাধ্য হবে বলে জানান ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন গত ২৫ তারিখ আমাদের কাউন্সিলারেরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। পুর আইন অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কাউন্সিলদের চিঠি করে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে ছয় দিন হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি তা পাশও করবো। আমাদের গঙ্গারামপুর পুরসভার সব কাউন্সিলররা আমার সঙ্গে রয়েছে নিয়মিত তারা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন আমরা নয়জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দাখিল করেছি। আজও পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি। নয় জন ছাড়াও আমাদের সাথে দুইজন কাউন্সিলার যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখান। চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকার পত্র দেখছেন তা বহু পুরোনো যখন বিপ্লব বাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওনার সাথে ছিলাম বর্তমানে উনি বিজেপিতে গিয়েছেন আমরা ওনাকে আর মানিনা।

Body:
জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন প্রশান্ত মিত্র ।।

গঙ্গারামপুর ; ০১ জুলাই ;-28 জুন BJP-তে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন অর্পিতা । অর্পিতা জানিয়েছিলেন, প্রশান্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন তারা । গত 28 জুন সেই প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর । গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18টি ওয়ার্ড রয়েছে । সেখানে বিরোধী শূন্য বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । চেয়ারম্যান করা হয়েছিল প্রশান্তকে ।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।
গঙ্গারামপুর পুরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে দেখা গেলো পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে। তৃণমূল কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান নিজের দপ্তরে বসে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা শুনেলেন এবং সাতদিনের মধ্যে পুরসভায় আস্থা মিটিং ডেকে পাশ করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী প্রশান্ত বাবু । বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় গত ২৫ তারিখ প্রশান্ত মিত্র সহ তিন তৃণমূল নেতাকে বহিস্কার করেন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ও ২৫ তারিখেই প্রশান্ত বাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন নয়জন কাউন্সিলার । প্রশান্ত বাবু তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে জেলার উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার তৃণমূল তথা জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে তিনি কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন। তেরোজন কাউন্সিলারদের নাম লেখা একটি ঘোষণা পত্র প্রকাশ করেন যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন বিপ্লব বাবুর সাথে থেকে পুরসভা পরিচালনা করবেন। এছাড়াও বহিরাগত তৃণমূল জেলা সভাপতিকে যে তারা মানেন না তাও লিখা রয়েছে ঘোষণা পড়তে। যার কারণে তৃনমুলের অন্দরে বেজায় অস্বস্থি তৈরী হয়েছে। ঘোষণা পত্রে কোনো তারিখ লিখা না থাকায় কৌশলী জবাব দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা পত্রটি সত্য হলেও তা অনেক পুরোনো। চেয়ারম্যান মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখাক।
গঙ্গারামপুর পুরসভার বাসিন্দারা চেয়ারম্যান হিসাবে প্রশান্ত মিত্রকেই চাই ,যদি প্রশান্ত মিত্র চেয়ারম্যান না থাকে তাহলে পুরবাসি রাস্তায় অনশন করতে বাধ্য হবে বলে জানান ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন গত ২৫ তারিখ আমাদের কাউন্সিলারেরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। পুর আইন অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কাউন্সিলদের চিঠি করে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে ছয় দিন হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি তা পাশও করবো। আমাদের গঙ্গারামপুর পুরসভার সব কাউন্সিলররা আমার সঙ্গে রয়েছে নিয়মিত তারা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন আমরা নয়জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দাখিল করেছি। আজও পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি। নয় জন ছাড়াও আমাদের সাথে দুইজন কাউন্সিলার যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখান। চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকার পত্র দেখছেন তা বহু পুরোনো যখন বিপ্লব বাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওনার সাথে ছিলাম বর্তমানে উনি বিজেপিতে গিয়েছেন আমরা ওনাকে আর মানিনা।

Conclusion:
জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন প্রশান্ত মিত্র ।।

গঙ্গারামপুর ; ০১ জুলাই ;-28 জুন BJP-তে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র । তারপরেই তাঁর ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের দল থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করেন অর্পিতা । অর্পিতা জানিয়েছিলেন, প্রশান্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন তারা । গত 28 জুন সেই প্রস্তাব আনেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর । গঙ্গারামপুর পৌরসভায় 18টি ওয়ার্ড রয়েছে । সেখানে বিরোধী শূন্য বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল । চেয়ারম্যান করা হয়েছিল প্রশান্তকে ।
অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, "প্রশান্ত মিত্র তাঁর দাদার সঙ্গে BJP-তে যোগ দিয়েছেন । গঙ্গারামপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা জানে ।
গঙ্গারামপুর পুরসভাতে বেশ খোশ মেজাজে দেখা গেলো পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে। তৃণমূল কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত নন চেয়ারম্যান নিজের দপ্তরে বসে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধা শুনেলেন এবং সাতদিনের মধ্যে পুরসভায় আস্থা মিটিং ডেকে পাশ করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী প্রশান্ত বাবু । বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় গত ২৫ তারিখ প্রশান্ত মিত্র সহ তিন তৃণমূল নেতাকে বহিস্কার করেন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ও ২৫ তারিখেই প্রশান্ত বাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন নয়জন কাউন্সিলার । প্রশান্ত বাবু তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে জেলার উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার তৃণমূল তথা জেলা সভাপতিকে অস্বস্থিতে ফেলতে তিনি কাউন্সিলররা যে এখনো তাদের সঙ্গেই রয়েছেন তার প্রমান দেন। তেরোজন কাউন্সিলারদের নাম লেখা একটি ঘোষণা পত্র প্রকাশ করেন যেখানে ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন বিপ্লব বাবুর সাথে থেকে পুরসভা পরিচালনা করবেন। এছাড়াও বহিরাগত তৃণমূল জেলা সভাপতিকে যে তারা মানেন না তাও লিখা রয়েছে ঘোষণা পড়তে। যার কারণে তৃনমুলের অন্দরে বেজায় অস্বস্থি তৈরী হয়েছে। ঘোষণা পত্রে কোনো তারিখ লিখা না থাকায় কৌশলী জবাব দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষণা পত্রটি সত্য হলেও তা অনেক পুরোনো। চেয়ারম্যান মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখাক।
গঙ্গারামপুর পুরসভার বাসিন্দারা চেয়ারম্যান হিসাবে প্রশান্ত মিত্রকেই চাই ,যদি প্রশান্ত মিত্র চেয়ারম্যান না থাকে তাহলে পুরবাসি রাস্তায় অনশন করতে বাধ্য হবে বলে জানান ।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন গত ২৫ তারিখ আমাদের কাউন্সিলারেরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। পুর আইন অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কাউন্সিলদের চিঠি করে পনেরো দিনের মধ্যে মিটিং সম্পন্ন করতে হবে ছয় দিন হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মিটিং ডেকে আমি তা পাশও করবো। আমাদের গঙ্গারামপুর পুরসভার সব কাউন্সিলররা আমার সঙ্গে রয়েছে নিয়মিত তারা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন আমরা নয়জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দাখিল করেছি। আজও পর্যন্ত চেয়ারম্যান ভয়ে মিটিং ডাকতে পারেননি। নয় জন ছাড়াও আমাদের সাথে দুইজন কাউন্সিলার যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেন মিটিং ডেকে আস্থা অর্জন করে দেখান। চেয়ারম্যান যে অঙ্গীকার পত্র দেখছেন তা বহু পুরোনো যখন বিপ্লব বাবু তৃণমূলে ছিলেন তখন আমরা ওনার সাথে ছিলাম বর্তমানে উনি বিজেপিতে গিয়েছেন আমরা ওনাকে আর মানিনা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.