বালুরঘাট, 10 নভেম্বর: সেতুর শুরুতে লেখা 'বিপজ্জনক সেতু, যাতায়াত নিষেধ' ৷ তার মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে সেতু পারাপার ৷ বালুরঘাটের ডাকবাংলোপাড়া ও গীতাঞ্জলির মধ্যে আত্রেয়ী খাড়ির উপর ফুটব্রিজটির একাংশ ভেঙে পড়ে যায় বৃহস্পতিবার ৷ নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই চলছে সেতু পারাপার ৷ যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা ৷ ঘটনা নজরে আসতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় বালুরঘাট পৌরসভা ৷ সেতুর দুপাশে বাড়ানো হয় পুলিশি নিরাপত্তা ৷ পথচলতি মানুষকে সেতু ব্যবহারে নিষেধ করা হচ্ছে ৷
বালুরঘাট পৌরসভার অন্তর্গত ডাকবাংলোপাড়া ও গীতাঞ্জলির মধ্যে আত্রেয়ী খাড়ির উপর এই ফুটব্রিজটি তৈরি হয়েছিল বাম আমলে ৷ সেতুটি তৈরি হওয়ায় খুব কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যেত গীতাঞ্জলি বাজারে ৷ অভিযোগ উঠছে, বাম আমলে ফুটব্রিজটি তৈরি হলেও পরে আর সেভাবে কোনওদিন সংস্কার করা হয়নি । সেতুটির রেলিং একাধিক জায়গায় ভাঙা ৷ বছর খানেক আগে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসে বালুরঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ । ফুটব্রিজের উপর দিয়ে মোটর বাইক ও টোটো চলাচল বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি করা হয় । ব্রিজের দু'পাশে কংক্রিটের ব্যারিকেডও করা হয়েছিল পৌরসভার তরফে ৷ কিছুদিন যেতেই সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফের মোটরবাইক ও টোটো চলাচল শুরু হয় । বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমবার ব্রিজটির একাংশ ভেঙে যায় । বিকেলের দিকে দ্বিতীয়বার ঝাঁকুনি দিয়ে ব্রিজটি আরও ঝুঁকে যায় । ঘটনা পৌরসভার নজরে আসতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ ব্রিজে পাকাপাকি ভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয় লোহার রড । এরপরও পুলিশের ব্যারিকেড ও আটকানো লোহা টপকে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ । যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা ।
স্থানীয় বাসিন্দা আরতি বসাক বলেন, "ব্রিজ ভেঙে যাচ্ছে । তাও লোকজন তার উপর দিয়ে যাতায়াত করছে । এর আগে কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল । তা ভেঙে দিয়ে যাতায়াত শুরু করে । আবার এখনও পুলিশের ব্যারিকেড ও লোহা দিয়ে ঘেরা রয়েছে । তাও তার উপর দিয়ে লোক যাতায়াত করছে। মানুষই যদি নিজের ভালো না বোঝে তাহলে কী করার আছে ।"
অন্যদিকে বালুরঘাট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়েই ব্রিজের দু'পাশে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে । যাতে এই ব্রিজের উপর দিয়ে কেউ যাতায়াত না করে ।