হরিরামপুর, 14 সেপ্টেম্বর : সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ৷ হরিরামপুর ব্লকের খানপুর, নিখড়ি পাড়া মৌজার কাকিহার গ্রামের ঘটনা ৷ এনিয়ে শনিবার হরিরামপুর ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসে অভিযোগ দায়ের করে জমির মালিকরা ৷ জমির মালিকদের দাবি, প্রাপ্য সরকারি অনুদানের টাকা ফেরৎ দেওয়া হোক ৷ টাকা তছরুপের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিক ৷
2019 সালের 100 দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামগুলিতে মাদুরকাঠি চাষের প্রকল্প গ্রহণ করেছিল জেলা প্রশাসন ৷ এই প্রকল্পের ব্যয় দেখানো হয়েছিল 2 লাখ 71 হাজার টাকা ৷ যাদের জমিতে চাষ হয় তাদের সরকারি অনুদান স্বরূপ ওই পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল ৷ তবে ওই অনুদানের একটা টাকাও পায়নি তারা ৷
চাষের জমির মালিকদের অভিযোগ, প্রকল্পের টাকা ছয় মাসের মধ্যে জমির মালিকদের দিয়ে দেওয়া হবে ৷ তা সত্ত্বেও বছর ঘুরতে চলল অথচ টাকা পায়নি ৷ জানা গেছে, ওই সরকারি অনুদান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্য লুৎফর রহমানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৷ এমনকী লুৎফরের আব্বা কাফিলউদ্দিনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৷
এবিষয়ে লাইলী আরজুমান বেগম বলেন, "আমরা মাদুর কাঠি চাষ করি ৷ সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী আমরা চাষ করেছিলাম ৷ তার জন্য আমাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা ছিল ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটাকা ঢোকেনি ৷ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৷ পঞ্চায়েত প্রধান গুলজার আলম ও সদস্য লুৎফর রহমান ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে ৷ আমাদের টাকা ফেরৎ দেওয়া হোক ৷"
আশরাফুল আলম নামে আরও এক মাদুর চাষি বলেন, "আমার বিঘা পাঁচেক জমিতে মাদুর চাষ করা হয়েছে ৷ এই এলাকার তিনটি NGO মিলিয়ে এই চাষে অংশগ্রহণ করে ৷ এছাড়া চাষের জমি ও চাষ পদ্ধতি পরিদর্শনে আসেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল, SDO মানবেন্দ্র দেবনাথসহ প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীসহ আরও অনেকে ৷ টাকা না পাওয়ায় আমরা বহুবার জেলাশাসক ও BDO-কে জানিয়েছি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি ৷"
জেলা শাসক জানান, "আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে ৷ আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব ৷ অভিযোগ সত্যি হলে প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৷"