ETV Bharat / state

NRS মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন গেলেন কোয়ারানটিনে - কোয়ারানটিন

NRS মেডিকেল কলেজ থেকে বালুরঘাটে আসেন এক ইন্টার্ন । বাড়ি এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাটে। শনিবার দুপুরে খবর পেতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়ার বাসন্তী বাগান এলাকায় ওই যুবকের বাড়ি যায়। তবে প্রথমে কোয়ারানটিন সেন্টারে যেতে অস্বীকার করে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। যদিও এদিন বিকেলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁদেরকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠায়।

quarantine
ইন্টার্ন
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 9:37 PM IST

বালুরঘাট, 25 এপ্রিল: কলকাতা NRS মেডিকেল কলেজ থেকে বালুরঘাটে আসেন এক ইন্টার্ন । বাড়ি এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাটে। শনিবার দুপুরে খবর পেতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়ার বাসন্তী বাগান এলাকায় ওই যুবকের বাড়ি যান। তবে প্রথমে কোয়ারানটিন সেন্টারে যেতে অস্বীকার করে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। যদিও এদিন বিকেলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁদেরকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠায়।

ওই যুবক কলকাতার NRS-এর ইন্টার্ন। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তবে তাঁদের বাড়ি বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়ার বাসন্তী বাগান এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল ওই যুবক তার মা, ভাই, বন্ধু ও ওই এলাকারই আরও একজন মিলে একটি প্রাইভেট গাড়িতে বালুরঘাটে ঢোকেন। এরপর পাড়া প্রতিবেশীরা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ির বাইরে বের হতে মানা করেন।

অভিযোগ, শনিবার সকালে ওই যুবক ও তাঁর বন্ধু এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। ব্রাশ করার সময় থুতু রাস্তাতে ফেলেন। এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরে। স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই পরিবারকে কোয়ারানটিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বোঝালেও গেটে তালা বন্ধ করে ঘরেই ঢুকে থাকেন তাঁরা। এরপর দীর্ঘক্ষণ স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশ বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। অবশেষে ফের তাঁদের বোঝানোর পরে তারা কোয়ারানটিন সেন্টারে যেতে রাজি হন। বিকেল ৪টায় তাঁরা বেরিয়ে এলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কোয়ারানটিনে নিয়ে যান। অন্যদিক, তাঁদের সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি আসেন। তিনি অবশ্য স্বেচ্ছায় কোয়ারানটিনে গিয়েছেন।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাখি চক্রবর্তী সরকার জানান, "কলকাতার বেশ কিছু এলাকা হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে পরিবার এখানে এসেছে। নিষেধ করার পরেও তাঁরা ঘুরে বেরাচ্ছেন। ব্রাশ করার সময় যেখানে সেখানে থুতু ফেলছে। এরপর আমার আত্মীয়কে দিয়ে দোকান করাচ্ছে। নিষেধ করায় যাতা কথা বলছে ওরা। আমরা এভাবে আমাদের এলাকায় থাকতে দিতে পারি না।"

এবিষয়ে NRS-এর ওই ইন্টার্ন বলেন," আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এখানে এসেছি। আমরা পাড়াতে ঘোরাঘুরিও করিনি। থুতুও ফেলিনি। শুধু একবার ট্যাপ থেকে জল নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছি। পাড়ার লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করছে"।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মী অনিন্দিতা রায় সরকার জানান, গতকাল রাতে ওই পরিবার কলকাতা থেকে এসেছে৷ খবর পেয়ে সকালেই যান তাঁরা। তবে গেটে তালা ছিল। পরে পৌরসভা কর্মীরা ও পুলিশ আসে। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, রেড জোন থেকে জেলায় আসা সকলকেই সোয়াব পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। সোয়াব পরীক্ষার ফল যদি নেগেটিভ আসে, তবুও তাঁদের কোয়ারানটিনে থাকতেই হবে।

বালুরঘাট, 25 এপ্রিল: কলকাতা NRS মেডিকেল কলেজ থেকে বালুরঘাটে আসেন এক ইন্টার্ন । বাড়ি এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাটে। শনিবার দুপুরে খবর পেতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়ার বাসন্তী বাগান এলাকায় ওই যুবকের বাড়ি যান। তবে প্রথমে কোয়ারানটিন সেন্টারে যেতে অস্বীকার করে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার। যদিও এদিন বিকেলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা এসে তাঁদেরকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠায়।

ওই যুবক কলকাতার NRS-এর ইন্টার্ন। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তবে তাঁদের বাড়ি বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়ার বাসন্তী বাগান এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল ওই যুবক তার মা, ভাই, বন্ধু ও ওই এলাকারই আরও একজন মিলে একটি প্রাইভেট গাড়িতে বালুরঘাটে ঢোকেন। এরপর পাড়া প্রতিবেশীরা ও স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ির বাইরে বের হতে মানা করেন।

অভিযোগ, শনিবার সকালে ওই যুবক ও তাঁর বন্ধু এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। ব্রাশ করার সময় থুতু রাস্তাতে ফেলেন। এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরে। স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই পরিবারকে কোয়ারানটিনে নিয়ে যাওয়ার কথা বোঝালেও গেটে তালা বন্ধ করে ঘরেই ঢুকে থাকেন তাঁরা। এরপর দীর্ঘক্ষণ স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশ বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। অবশেষে ফের তাঁদের বোঝানোর পরে তারা কোয়ারানটিন সেন্টারে যেতে রাজি হন। বিকেল ৪টায় তাঁরা বেরিয়ে এলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কোয়ারানটিনে নিয়ে যান। অন্যদিক, তাঁদের সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি আসেন। তিনি অবশ্য স্বেচ্ছায় কোয়ারানটিনে গিয়েছেন।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাখি চক্রবর্তী সরকার জানান, "কলকাতার বেশ কিছু এলাকা হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে পরিবার এখানে এসেছে। নিষেধ করার পরেও তাঁরা ঘুরে বেরাচ্ছেন। ব্রাশ করার সময় যেখানে সেখানে থুতু ফেলছে। এরপর আমার আত্মীয়কে দিয়ে দোকান করাচ্ছে। নিষেধ করায় যাতা কথা বলছে ওরা। আমরা এভাবে আমাদের এলাকায় থাকতে দিতে পারি না।"

এবিষয়ে NRS-এর ওই ইন্টার্ন বলেন," আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এখানে এসেছি। আমরা পাড়াতে ঘোরাঘুরিও করিনি। থুতুও ফেলিনি। শুধু একবার ট্যাপ থেকে জল নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছি। পাড়ার লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করছে"।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মী অনিন্দিতা রায় সরকার জানান, গতকাল রাতে ওই পরিবার কলকাতা থেকে এসেছে৷ খবর পেয়ে সকালেই যান তাঁরা। তবে গেটে তালা ছিল। পরে পৌরসভা কর্মীরা ও পুলিশ আসে। এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, রেড জোন থেকে জেলায় আসা সকলকেই সোয়াব পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। সোয়াব পরীক্ষার ফল যদি নেগেটিভ আসে, তবুও তাঁদের কোয়ারানটিনে থাকতেই হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.