তপন, ২৮ জুলাই : অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শওহর ও শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গিহারে। মৃতার নাম সুলেখা খাতুন(বিবি)। বয়স ১৬। আজ দুপুরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে মোট ৫ জনের নামে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ।
জানা গেছে, সুলেখা এবছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। তার বাবা আজাহার মণ্ডল। পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক। লকডাউনের জন্য সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন। সুলেখাা দেড় বছর ধরে গ্রামের রাহুল চৌধুরি নামে এক যুবকের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। রাহুল পেশায় কৃষক। দুই পরিবারের সম্মতিতে চলতি মাসের ১ তারিখ তাদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা বর পনের জন্য সুলেখার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতে থাকে তার শওহর ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। সুলেখা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল । গতকাল দুপুরে হঠাৎই সুলেখার বাবা মাকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে তার বাবা মা। এসে দেখেন তাদের মেয়ে এক কোনায় বসে রয়েছে। তাকে হাত দিয়ে ডাকতেই সে পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসককে । এরপর তিনি সুলেখাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তপন থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। সুলেখার গলায় দাগ থাকায় খুনের অভিযোগ তোলে পরিবারের লোকেরা। এরপর স্বামী-সহ তার ভাই রাকিব চৌধুরি ঘটনাস্থান থেকে পালানোর চেষ্টা করে । সেই সময় গ্রামবাসীরা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃতদের আজ বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয় । মূল অভিযুক্ত রাহুল চৌধুরিকে আট দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত । তার ভাই রাকিবকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ।
মৃতার জেঠু মুসোলিম মোল্লা ও আবু তাহের মণ্ডল জানান, তার ভাইঝি গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করত। চলতি মাসের ১ তারিখ তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তার ভাইঝি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বিয়ের পর থেকে তার শওহর ১০ লাখ টাকা পণ চায় । তার ভাইঝিকে পণের টাকা নিয়ে আসার চাপ দিতে থাকে। এমনকি টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাত। গতকাল হটাৎই তাদের খবর দেওয়া তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি যান তারা। দেখেন তাদের মেয়ে আগেই মারা গেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে তপন থানার OC সৎকার সাংবো জানান, " খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ধৃত দু'জনকে আজ আদালতে তোলা হলে মৃতার স্বামীকে ৮ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। " ঘটনায় অভিযুক্তদের তরফ থেকে কোন রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার শওহর সহ ২
১০ লাখ টাকা পণের দাবিতে বিয়ের এক মাস হতে না হতেই স্ত্রীকে খুন । গ্রেপ্তার ২ ।
তপন, ২৮ জুলাই : অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শওহর ও শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙ্গিহারে। মৃতার নাম সুলেখা খাতুন(বিবি)। বয়স ১৬। আজ দুপুরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে মোট ৫ জনের নামে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ।
জানা গেছে, সুলেখা এবছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। তার বাবা আজাহার মণ্ডল। পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক। লকডাউনের জন্য সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছেন। সুলেখাা দেড় বছর ধরে গ্রামের রাহুল চৌধুরি নামে এক যুবকের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। রাহুল পেশায় কৃষক। দুই পরিবারের সম্মতিতে চলতি মাসের ১ তারিখ তাদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা বর পনের জন্য সুলেখার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতে থাকে তার শওহর ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। সুলেখা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল । গতকাল দুপুরে হঠাৎই সুলেখার বাবা মাকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে তার বাবা মা। এসে দেখেন তাদের মেয়ে এক কোনায় বসে রয়েছে। তাকে হাত দিয়ে ডাকতেই সে পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসককে । এরপর তিনি সুলেখাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তপন থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। সুলেখার গলায় দাগ থাকায় খুনের অভিযোগ তোলে পরিবারের লোকেরা। এরপর স্বামী-সহ তার ভাই রাকিব চৌধুরি ঘটনাস্থান থেকে পালানোর চেষ্টা করে । সেই সময় গ্রামবাসীরা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃতদের আজ বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয় । মূল অভিযুক্ত রাহুল চৌধুরিকে আট দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত । তার ভাই রাকিবকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ।
মৃতার জেঠু মুসোলিম মোল্লা ও আবু তাহের মণ্ডল জানান, তার ভাইঝি গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করত। চলতি মাসের ১ তারিখ তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তার ভাইঝি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বিয়ের পর থেকে তার শওহর ১০ লাখ টাকা পণ চায় । তার ভাইঝিকে পণের টাকা নিয়ে আসার চাপ দিতে থাকে। এমনকি টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাত। গতকাল হটাৎই তাদের খবর দেওয়া তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি যান তারা। দেখেন তাদের মেয়ে আগেই মারা গেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে তপন থানার OC সৎকার সাংবো জানান, " খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ধৃত দু'জনকে আজ আদালতে তোলা হলে মৃতার স্বামীকে ৮ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। " ঘটনায় অভিযুক্তদের তরফ থেকে কোন রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।