গঙ্গারামপুর, 27 জুলাই : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দিয়ে ধরা পড়ে গেল এক ব্যক্তি। সোমবার গঙ্গারামপুর আদালতে তোলা হয় ধৃত চন্দন মহন্তকে । তার তিন দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
ধৃতের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশকারী এলাকায় । ওই ব্যক্তি নিজেকে হাইকোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দিয়ে হরিরামপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলমকে চাপ দিচ্ছিল । অভিযোগ, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি । আগেও ওই ব্যক্তি পরিচয় ভাঙিয়ে দেখা করেছিল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে ।
গতকাল দুপুরে হরিরামপুর ব্লকের BMOH সৌভিক আলমের সঙ্গে দেখা করে ওই ব্যক্তি । সন্দেহ হলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মণ্ডল ও হরিরামপুর থানার পুলিশকে খবর দেন তিনি । সেখানেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জেরা করে জেনেছে, আগেও সে প্রতারণা করেছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা আদায় করত । আদালতের এক কর্মীর থেকে তাঁর আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার নামেও প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ।
আরও পড়ুন : চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার যুবক
বিকাশ দত্ত নামে গঙ্গারামপুর আদালতের ওই কর্মী জানান, "চন্দন মোহন্ত আমার বাবার সেরেস্তায় বসত । আমার বাবার সঙ্গে অনেকদিনের আলাপ । আমার ভাগ্নেকে বংশীহারী থানায় সিভিক পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়েছে । আমি গঙ্গারামপুর আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করব ।"
এদিকে ধৃত চন্দন মোহন্তের দাবি, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে । সে বিচারপতির পরিচয়ে কোথাও যায়নি এবং কোনও থানাতে কেউ অভিযোগও করেনি ।
জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, "চন্দন মোহন্ত নামে একজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । সে নিজেকে হাইকোর্টের বিচারপতি বলে পরিচয় দেয় এবং গতকাল হরিরামপুরের BMOH-এর কাছে যায় । BMOH সৌভিক আলমের সন্দেহ হওয়ায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।"