ETV Bharat / state

গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকাকে মারধরে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত - তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান

গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত অমল সরকার ৷ রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ জমি দখল ঘিরে শনিবার ওই শিক্ষিকা ও তার মাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ৷

Gangarampur main accused arrested
মূল অভিযুক্ত অমল সরকার
author img

By

Published : Feb 6, 2020, 9:57 PM IST

গঙ্গারামপুর, 6 ফেব্রুয়ারি : গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত উপপ্রধান অমল সরকার ৷ আজ দুপুরে গঙ্গারামপুরের রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুলিশ ৷

গঙ্গারামপুর মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াং জেন ভুটিয়া বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বামনগোলা হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর যাচ্ছিল ৷ সেইসময় তাকে রতনপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঘটনায় যুক্ত বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷

শনিবার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুরে রাস্তা তৈরির জন্য জমি দখলের প্রতিবাদ করায় শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ৷ স্থানীয় সয়রাপুর হাইস্কুলের বাংলা বিভাগের প্যারা টিচার তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) তাঁর মাকে নিয়ে ওই এলাকায় থাকেন ৷ অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল নন্দনপুরে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে 12 ফুট করে জমির অংশ নেওয়া হলেও ওই শিক্ষিকার থেকে জবরদস্তি 24 ফুট জায়গা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবাদ করায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার সহ আরও কয়েকজন তৃপ্তিদেবী ও তাঁর মাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ এমনকী প্রতিবাদের সময় রাস্তায় পড়ে গেলে ওই শিক্ষিকার পায়ে দড়ি বেঁধে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ ঘটনার তদন্তে নামে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে সোমবার গোবিন্দ সরকার (33) ও তপন শীল (30)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পলাতক মূল অভিযুক্ত অমল সরকারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ ৷ আজ তাকে রতনপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷

মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি নির্যাতিতা শিক্ষিকা ও তাঁর মা ৷ তাঁরা ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷

গঙ্গারামপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত

গঙ্গারামপুর, 6 ফেব্রুয়ারি : গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত উপপ্রধান অমল সরকার ৷ আজ দুপুরে গঙ্গারামপুরের রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুলিশ ৷

গঙ্গারামপুর মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াং জেন ভুটিয়া বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বামনগোলা হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর যাচ্ছিল ৷ সেইসময় তাকে রতনপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঘটনায় যুক্ত বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷

শনিবার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুরে রাস্তা তৈরির জন্য জমি দখলের প্রতিবাদ করায় শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ৷ স্থানীয় সয়রাপুর হাইস্কুলের বাংলা বিভাগের প্যারা টিচার তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) তাঁর মাকে নিয়ে ওই এলাকায় থাকেন ৷ অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল নন্দনপুরে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে 12 ফুট করে জমির অংশ নেওয়া হলেও ওই শিক্ষিকার থেকে জবরদস্তি 24 ফুট জায়গা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবাদ করায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার সহ আরও কয়েকজন তৃপ্তিদেবী ও তাঁর মাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ এমনকী প্রতিবাদের সময় রাস্তায় পড়ে গেলে ওই শিক্ষিকার পায়ে দড়ি বেঁধে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ ঘটনার তদন্তে নামে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে সোমবার গোবিন্দ সরকার (33) ও তপন শীল (30)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পলাতক মূল অভিযুক্ত অমল সরকারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ ৷ আজ তাকে রতনপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷

মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি নির্যাতিতা শিক্ষিকা ও তাঁর মা ৷ তাঁরা ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷

গঙ্গারামপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত
Intro:নন্দনপুরে বিজেপির মহিলা কর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত অমল সরকার, তোলা হল আদালতে।।

গঙ্গারামপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরের বিজেপি  শিক্ষিকাকে মারধর করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অমর সরকারকে গঙ্গারামপুর থানা রতনপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অমল সরকারকে আজই গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। গঙ্গারামপুর থানার পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের জন্য আদালতে কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আরো দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর নিজেদের জমির উপরে বাড়ি করে বসবাস করেন পেশায় শিক্ষিকা। বিজেপি কর্মী স্মৃতি কণা দাস ও তার মা। দিদি সােমা দাসের অনেকদিন আগেই বিয়ে হয়ে গেছে৷ স্মৃতি কণা দাস স্থানীয়রা সয়রাপুর হাই স্কুলের বাংলা বিভাগের প্যারা টিচার। অভিযােগ, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যােজনা আর রাস্তার কাজ চলার সময় বিবাদ বাধে। কারণ রাস্তা তৈরি জন্য স্মৃতিকণা দেবীদেরই সব থেকে বেশি জমি নেওয়া হচ্ছিল। এরই প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। কারণ রাস্তা তৈরির জন্য জোরজবস্তি করে তাদের কাছ থেকে ২৪ ফিট জমি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অন্যদের কাছে মাত্র ১২ ফিট করে জায়গা নেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্মৃতিকণা দাস ও তার দিদি সােমাদেবীকে লােহার রড দিয়ে মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার সহ অন্যান্যরা। এমনকি প্রতিবাদ করার সময় রাস্তায় পড়ে গেলে স্মৃতি কণা দেবীর পায়ে দড়ি বেঁধে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেই ঘটনার ভিডিও সােশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ঘটনার দিনই আক্রান্ত স্মৃতিকণা ও তার দিদি সােমা দাসকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি হওয়ার পরদিন অথাৎ রবিবার অমল সরকার সহ মােট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন স্মৃতিকণাদেবী। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই সরব হয় বিজেপি। এই ঘটনা মধ্য যুগূয় বর্বরতার সমান বললেও ভুল হবে বলে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান। এদিকে অভিযােগ পেয়ে গত সােমবার সকালে অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন গােবিন্দ সরকার (৩৩) ও তপন শীলকে (৩০) গ্রেফতার করেছিল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। আজ দুপুরে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অমল সরকারকে(৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজই তাকে আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশী চালাছে পুলিশ।

এদিকে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি নির্যাতিতা শিক্ষিকা। তবে শুধু গ্রেপ্তার নয় তার যেন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় আর আগামী দিনে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তা পুলিশ প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে বলেন তিনি।

এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহাকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াং জেন ভুটিয়া জানান, আজ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকারকে রতনপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি বামনগোলা হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর যাচ্ছিল। সেই সময় রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে এবং সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বাকি দু'জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। Body:Gangarampur Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.