গঙ্গারামপুর, 6 ফেব্রুয়ারি : গঙ্গারামপুরে শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত উপপ্রধান অমল সরকার ৷ আজ দুপুরে গঙ্গারামপুরের রতনপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুলিশ ৷
গঙ্গারামপুর মহকুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াং জেন ভুটিয়া বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি বামনগোলা হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর যাচ্ছিল ৷ সেইসময় তাকে রতনপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঘটনায় যুক্ত বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷
শনিবার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুরে রাস্তা তৈরির জন্য জমি দখলের প্রতিবাদ করায় শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ৷ স্থানীয় সয়রাপুর হাইস্কুলের বাংলা বিভাগের প্যারা টিচার তৃপ্তি দে (নাম পরিবর্তিত) তাঁর মাকে নিয়ে ওই এলাকায় থাকেন ৷ অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল নন্দনপুরে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে 12 ফুট করে জমির অংশ নেওয়া হলেও ওই শিক্ষিকার থেকে জবরদস্তি 24 ফুট জায়গা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবাদ করায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার সহ আরও কয়েকজন তৃপ্তিদেবী ও তাঁর মাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ এমনকী প্রতিবাদের সময় রাস্তায় পড়ে গেলে ওই শিক্ষিকার পায়ে দড়ি বেঁধে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ ঘটনার তদন্তে নামে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে সোমবার গোবিন্দ সরকার (33) ও তপন শীল (30)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পলাতক মূল অভিযুক্ত অমল সরকারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ ৷ আজ তাকে রতনপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷
মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় খুশি নির্যাতিতা শিক্ষিকা ও তাঁর মা ৷ তাঁরা ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ৷