ETV Bharat / state

দক্ষিণ দিনাজপুর প্রশাসনের কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা, বেঁধে দিলেন সময়সীমা

গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে ছিলেন জেলাশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের সচিব সহ জেলার জনপ্রতিনিধিরা ৷ বৈঠকে 100 দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

author img

By

Published : Nov 19, 2019, 9:37 PM IST

জেলায় বেহাল কন্যাশ্রী; ক্ষুব্ধ মমতা

গঙ্গারামপুর, 19 নভেম্বর : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রিভিউ মিটিংয়ে এসে আজ জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জেলায় থমকে আছে 100 দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্প ৷ সমস্যা মেটাতে 7 দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি ৷

গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে ছিলেন জেলাশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের সচিব সহ জেলার জনপ্রতিনিধিরা ৷ বৈঠকে 100 দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ৷ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ আরও পাঁচ সদস্যের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলাশাসকও ৷ এরপরই সমস্যা মেটাতে 7 দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

শুধুমাত্র 100 দিনের কাজের প্রকল্পই নয়, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ স্বাস্থ্য সাথি, কন্যাশ্রী, বৈতরণি প্রকল্প রূপায়ণে পিছিয়ে রয়েছে জেলা । মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ৷ প্রশাসনের কাজের প্রতিটি স্তরে গতি আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি ৷ প্রতি মাসে রিপোর্টও জমা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পগুলি নিয়ে আধিকারিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণেরও নির্দেশ দেন তিনি ৷

এছাড়া বৈঠক শুরুর আগে কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা জেলার 112 জন শ্রমিকের হাতে 50 হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী । আশ্বস্ত করেন NRC নিয়েও ৷ সাফ জানিয়ে দেন, "NRC বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) হবে না ৷ যারা বাংলায় থাকেন, সকলেই বাংলার নাগরিক ৷ এখানে কোনও রকম NRC হবে না।"

গঙ্গারামপুর, 19 নভেম্বর : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রিভিউ মিটিংয়ে এসে আজ জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জেলায় থমকে আছে 100 দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্প ৷ সমস্যা মেটাতে 7 দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি ৷

গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে ছিলেন জেলাশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের সচিব সহ জেলার জনপ্রতিনিধিরা ৷ বৈঠকে 100 দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ৷ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ আরও পাঁচ সদস্যের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলাশাসকও ৷ এরপরই সমস্যা মেটাতে 7 দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

শুধুমাত্র 100 দিনের কাজের প্রকল্পই নয়, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ স্বাস্থ্য সাথি, কন্যাশ্রী, বৈতরণি প্রকল্প রূপায়ণে পিছিয়ে রয়েছে জেলা । মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ৷ প্রশাসনের কাজের প্রতিটি স্তরে গতি আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি ৷ প্রতি মাসে রিপোর্টও জমা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পগুলি নিয়ে আধিকারিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণেরও নির্দেশ দেন তিনি ৷

এছাড়া বৈঠক শুরুর আগে কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা জেলার 112 জন শ্রমিকের হাতে 50 হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী । আশ্বস্ত করেন NRC নিয়েও ৷ সাফ জানিয়ে দেন, "NRC বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) হবে না ৷ যারা বাংলায় থাকেন, সকলেই বাংলার নাগরিক ৷ এখানে কোনও রকম NRC হবে না।"

Intro:কাজ না হলে মানুষ আপনাকে ধরবে না আমাকে ধরবে, জেলা পরিষদের অচলাবস্থা কাটাতে জেলা শাসককে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।।

গঙ্গারামপুর, ১৯ নভেম্বর: কাজ না হলে মানুষ আপনাকে ধরবে না আমাকে ধরবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের অচলাবস্থা কাটাতে জেলা শাসককে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি যারা কাজ করতে চায় তাদের নিয়ে কাজ করার নির্দেশ জেলা শাসককে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রিপোর্ট কার্ড খুবই খারাপ বলেও জেলা শাসককে ধমক দেন মমতা ব্যানার্জি। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রিভিউ মিটিং করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহ জন প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। জেলার উন্নয়ন মূলক কাজের অগ্রগতি ও সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ হেলিকপ্টারে করে কোচবিহার থেকে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জেলার প্রশাসনিক প্রধান ও নবান্নের বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা হাজির ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগেই কাশ্মীর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা জেলার ১১২ জন শ্রমিকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই জেলার সামগ্রিক রিপোর্ট কার্ড এর কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। জেলা শাসকের বক্তব্যে পরিস্কার হয় ১০০ দিনের কাজে অনেক পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ১০০ দিনের কাজ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তলব করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতির। তিনি এদিনের বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ পাঁচজন সদস্য জেলার উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে জেলা শাসক মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসককে জেলা পরিষদের অচলাবস্থা কাটানোর জন্য সাত দিনের সময় সীমা বেঁধে দেন। পাশাপাশি আরও বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না মনে কি, ইয়ার্কি নাকি! বিয়ে বাড়ি পেয়েছে। যে সকলের কথা ভাবার আছে। সরকারি টাকা ফেলে রাখা যাবে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।

পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের প্রশাসনিক সভায় এসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে বৈতরণী প্রকল্প। সব প্রকল্পের কাজ কেন পিছিয়ে আছে তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেন জেলার আধিকারিকদের কাছে। টাইম নির্দিষ্ট করে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি এবং বলেন প্রতি মাসে রিপোর্ট তাকে জানাতে হবে। রাজ্য সরকারের নতুন অনেক স্ক্রিম রয়েছে যা সরকারি আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধিরা জানেন না। সেই সব স্কিম গুলো জানানোর জন্য জেলাতে প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও এনআরসি বা সিটিজেন আমেন্ডমেন্ট এখানে হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান। তাও মানুষ কেন ভয় পাচ্ছেন বুঝতে পারছেন না। যারা বাংলায় থাকেন সকলেই বাংলার নাগরিক এখানে কোন রকমের এনআরসি হবে না। Body:Gangarampur Conclusion:Gangarampur
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.