ETV Bharat / state

লকডাউনে সিল সীমান্ত, সমস্যায় কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয়রা

author img

By

Published : Apr 22, 2020, 8:11 AM IST

লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের গেটগুলি । আর তাতেই সমস্যায় পড়ছে গেটের ওপারে থাকা ভারতীয়রা ।

hili Border
হিলি সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্ত

হিলি, 22 এপ্রিল : কাঁটাতারের ওপারে থাকলেও তাঁরা ভারতীয় । পেশা থেকে শুরু করে ওষুধ, ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক প্রয়োজনে তাই তাঁরা এপারে আসেন । কিন্তু লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের সেই গেটগুলি । আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন গেটের ওপারে থাকা ভারতীয়রা । কেউ ওষুধ কিনতে পারছেন না । কেউ আবার পেনশন তুলতে পারছেন না । প্রশাসন যদিও বলেছে, ওপারেই তাঁদের সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । কিন্তু অভিযোগ, এখনও কিছুই করা হয়নি । আর তার জেরে প্রায় প্রতিদিনই BSF-এর সঙ্গে বচসায় জড়াচ্ছেন কাঁটাতারের ওপারে বসবাসকারী ভারতীয়রা ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত । 250 কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্ত । যার মধ্যে এখনও প্রায় 30 কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই । জেলার হিলি থানার মধ্যে থাকা কাঁটাতারের ওপারেই রয়েছে 11 টি গ্রাম । যার মধ্যে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর উল্লেখযোগ্য । কাঁটাতারের ওপারে থাকলেও এই এলাকার বাসিন্দারা ভারতীয় । লকডাউনের জেরে এখন এই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন ।

10 এপ্রিল থেকে গোটা সীমান্ত সিল করা হয়েছে । ফলে গ্রামবাসীদের এপারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । প্রশাসনের তরফে সবরকম সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেক সাহায্যই তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উত্তর জামালপুর ও শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দাদের । ওই গ্রামে এক হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন । খাবার সামগ্রী থেকে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এপারে আসতে পারছেন না তাঁরা । আবার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন । শুধু মাত্র উত্তর জামালপুর ও শ্রীকৃষ্ণপুর নয়, বাকি গ্রামগুলিতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে । এর ফলে প্রায়শই BSF জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা । গতকালও BSF জওয়ানদের সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের । বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা ।

বিক্ষোভকারী জরিনা বেওয়া জানান, তিনি কৃষি পেনশন পান । মাসে মাসে সেই টাকা তুলেই নিজের খরচ চালান । কিন্তু ওপারে ব্যাঙ্কে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ BDO বলে গিয়েছিলেন, তাঁদের এখানে ব্যাঙ্কের ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু তা এখনও হয়নি । তাঁর প্রেসারের ওষুধ লাগে । 10 দিন ধরে সেই ওষুধও পাচ্ছেন না তিনি ।

এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, BSF-এর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । কাঁটাতারের ওপারে যাঁরা রয়েছে তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও BDO-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই সমস্যাগুলি তাঁদের দেখতে বলা হয়েছে ।

হিলি, 22 এপ্রিল : কাঁটাতারের ওপারে থাকলেও তাঁরা ভারতীয় । পেশা থেকে শুরু করে ওষুধ, ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক প্রয়োজনে তাই তাঁরা এপারে আসেন । কিন্তু লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের সেই গেটগুলি । আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন গেটের ওপারে থাকা ভারতীয়রা । কেউ ওষুধ কিনতে পারছেন না । কেউ আবার পেনশন তুলতে পারছেন না । প্রশাসন যদিও বলেছে, ওপারেই তাঁদের সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । কিন্তু অভিযোগ, এখনও কিছুই করা হয়নি । আর তার জেরে প্রায় প্রতিদিনই BSF-এর সঙ্গে বচসায় জড়াচ্ছেন কাঁটাতারের ওপারে বসবাসকারী ভারতীয়রা ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন দিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত । 250 কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্ত । যার মধ্যে এখনও প্রায় 30 কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই । জেলার হিলি থানার মধ্যে থাকা কাঁটাতারের ওপারেই রয়েছে 11 টি গ্রাম । যার মধ্যে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর উল্লেখযোগ্য । কাঁটাতারের ওপারে থাকলেও এই এলাকার বাসিন্দারা ভারতীয় । লকডাউনের জেরে এখন এই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন ।

10 এপ্রিল থেকে গোটা সীমান্ত সিল করা হয়েছে । ফলে গ্রামবাসীদের এপারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । প্রশাসনের তরফে সবরকম সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেক সাহায্যই তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উত্তর জামালপুর ও শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দাদের । ওই গ্রামে এক হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন । খাবার সামগ্রী থেকে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এপারে আসতে পারছেন না তাঁরা । আবার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন । শুধু মাত্র উত্তর জামালপুর ও শ্রীকৃষ্ণপুর নয়, বাকি গ্রামগুলিতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে । এর ফলে প্রায়শই BSF জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা । গতকালও BSF জওয়ানদের সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের । বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা ।

বিক্ষোভকারী জরিনা বেওয়া জানান, তিনি কৃষি পেনশন পান । মাসে মাসে সেই টাকা তুলেই নিজের খরচ চালান । কিন্তু ওপারে ব্যাঙ্কে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ BDO বলে গিয়েছিলেন, তাঁদের এখানে ব্যাঙ্কের ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু তা এখনও হয়নি । তাঁর প্রেসারের ওষুধ লাগে । 10 দিন ধরে সেই ওষুধও পাচ্ছেন না তিনি ।

এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, BSF-এর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে । কাঁটাতারের ওপারে যাঁরা রয়েছে তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও BDO-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই সমস্যাগুলি তাঁদের দেখতে বলা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.