বালুরঘাট, 5 নভেম্বর: দুয়ারে সরকার স্কুলে চলায় বিতর্ক দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে । বিজেপির অভিযোগ, পঠন-পাঠন শিকেয় তুলে স্কুলগুলিতে চলছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) । শাসক দল ভোটের স্বার্থ দেখতে গিয়ে ছাত্রদের পড়াশোনায় ক্ষতি করছে।
পুনরায় রাজ্য জুড়ে আবার শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজ । একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি । জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু হলেও শনিবার থেকে বালুরঘাট শহরে শুরু হয় দুয়ারে সরকার। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি স্কুলগুলিকেও ব্যবহার করা হচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে সেই সমস্ত স্কুলের পঠন-পাঠন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড়
এদিন বালুরঘাটের খাদিমপুর হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় । কর্মসূচিতে বিভিন্ন দফতরের কাজের জন্য বেশ কিছু ঘরের প্রয়োজন হওয়ায় ওই স্কুলের নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়া অন্যান্য ক্লাসগুলি চললেও, লোকসমাগম এবং মাইক বাজানো নিয়ে সমস্যায় পড়ে স্কুলের ছাত্ররা । যা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ ছাত্রদের পঠন পাঠনের অসুবিধার কথা স্বীকার করেছেন । ছুটির দিনে হলে ভালো হতো বলে তাঁরা মনে করছেন ।
যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছুটির দিনে নয়, ওয়ার্কিং ডে তে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করতে হবে বলে সরকারি নির্দেশ রয়েছে । তাই হাফ ডে হিসেবে শনিবারে স্কুলে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় । দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, আগে করোনার কারণে স্কুলগুলি বন্ধ ছিল । এখন গরমের ছুটি, পুজোর ছুটির পর স্কুলগুলি খুলেছে । সামনে পরীক্ষা রয়েছে । দুয়ারে সরকার শাসকদলের ভোটের স্বার্থে করা হচ্ছে । কিন্তু সরকারি ভবনে না-করে, স্কুলে করায় ছাত্রদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এবার মৎস্যজীবীদের জীবন বীমার সুযোগ
অপরদিকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি জানান, দুয়ারে সরকার সাধারণ মানুষের জনমুখী প্রকল্প। ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে । শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে কিছু ক্ষেত্রে স্কুল ব্যবহার করছে প্রশাসন । শহরের বিভিন্ন স্কুলে মাত্র একদিন করে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে একদিনের জন্য পঠন-পাঠন সামান্য ব্যাহত হলেও বৃহৎ অংশের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।